পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের সোনি জেলায় গরু নিধনের অভিযোগে দুই আদিবাসী যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ছিল। এদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হল। ঘটনার দিন সন্দেহভাজন দু-তিনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ আরও জানায়, অভিযুক্ত ২০ জনের বিরুদ্ধে আগেই ৬টি খুনের অভিযোগ আছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গরু নিধনের অভিযোগ তুলে এই ঘটনার সূত্রপাত। প্রায় ২০ জন মিলে ওই দুই আদিবাসী যুবকের বাড়িতে চড়াও হয়। তাদের ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারের নৃশংসতায় মৃত্যু হয় ওই দুই যুবকের। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত বলে জানান। ঘটনায় আহত হন অপর এক যুবক। ওইদিনই পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান সোনি জেলার পুলিশ প্রধান। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে জব্বলপুর-নাগপুরে অবস্থান বিক্ষোভ করেন কংগ্রেস বিধায়ক অর্জুন সিং কাকোদিয়া।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস কে মারাভি জানান, দুজন আদিবাসী যুবক মারা গেছেন। ১৫-২০ জন মানুষ ওই যুবকদের বাড়িতে চড়াও হয়। তাদের অভিযোগ ছিল ওই দুই যুবক গরু নিধন করেছে। একজন আহত হয়েছে। তবে তার আঘাত গুরুতর নয়। ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সন্দেহের তালিকায় থাকা দু-তিনজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহত যুবকদের বাড়ি থেকে ১২ কেজি মাংস উদ্ধার হয়েছে।
হামলায় আহত ব্রজেশ ভাট্টি নামের যুবক জানান, রাগে উন্মত্ত কিছু মানুষ এসে তাদের ওপর চড়াও হয়। কিছু না শোনার আগেই সম্পত ভাট্টি ও ধনশা নামে দুই আদিবাসী যুবককে লাঠি দিয়ে নৃশংসভাবে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে তারা।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দ্রুত উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কংগ্রেস নেতা কমল নাথ বলেছেন, আমি সরকারের কাছে উচ্চ পর্যায় তদন্ত সহ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে হতাহতদের পরিবারকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা ও সরকারি খরচে আহত ব্যক্তির চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও দাবি জানিয়েছেন কমল নাথ।
কমল নাথ আরও বলেন, এই ঘটনায় স্থানীয় কিছু মানুষের অভিযোগ বজরং দল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি ভিডি শর্মা ঘটনাটিকে ‘অমানবিক’ বলে অভিহিত করে বলেছেন, সরকার দোষীদের কাউকে ছাড় দেবে না।