পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ‘পদত্যাগী’ আইএএস টপার শাহ ফয়জলকে তাঁর সিভিল সার্ভিসে বহাল রাখল কেন্দ্র। জম্মু-কাশ্মীরের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে দল গঠন করেছিলেন কাশ্মীরি আইএএস টপার শাহ ফয়জল। ২০১৯ সালে গঠিত হয় জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্ট। ‘কাশ্মীরের মানুষদের অযাচিতভাবে মৃত্যু হচ্ছে এবং ভারতীয় মুসলিমদের একঘরে করে দেওয়া হচ্ছে’, এই অভিযোগে আইএসএস পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন ২০১০ সালের আইএসএস টপার শাহ ফয়জল।
তবে ফয়জলের পদত্যাগ সরকার কখনই গ্রহণ করেনি। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, তাঁকে সিভিল সার্ভিসে রাখা হয়েছে।
২০১৯ সালে জানুয়ারি মাসে সিভিল সার্ভিস থেকে পদত্যাগ করার পর শাহ ফয়সাল দাবি করেন, ‘বেশ কয়েকটি উস্কানিমূলক সিদ্ধান্ত তার বিরুদ্ধে গৃহীত হয়েছিল। তবে সেই সময় জম্মু-কাশ্মীরের প্রতি কেন্দ্র সরকারের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আমি কিছু কাজ করতে চেয়েছিলাম।’
আইএএস অফিসার শাহ ফয়জল একটি ট্যুইটে বলেন, ‘আমি প্রায় সব হারিয়ে ফেলেছিলাম। আবার আমি আমার বন্ধু, চাকরি, সম্মান, সব পেয়েছি। কিন্তু আমি আমার আশা কখনও ছাড়িনি।’ শাহ ফয়সাল-এর আরও সংযোজন, আমার নিজের প্রতি বিশ্বাস কখনও হারায়নি। আমি যে ভুলগুলো করেছি তা আমি শুধরে নেব। আমার জীবনে এটি আরও একটি সুযোগ। বিগত আট মাসের স্মৃতি আমি মুছে ফেলতে চাই। জীবন আমাকে আবার সময় দিয়েছে। আমি আবার নতুন করে শুরু করতে চাই। ফয়জল বলেন, আমলাতন্ত্র তার নিজস্ব জায়গায় কাজ করে। আমলাতন্ত্র রাজনীতিবিদদের শর্তাবলী নির্দেশ করতে পারে না। রাজনীতিবিদ জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি হুরিয়াতকে ‘জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের অনুভূতির রক্ষক” হিসাবেও অভিহিত করেছেন।
উল্লেখ্য, উত্তর কাশ্মীরের সোগামের বাসিন্দা ফয়জল, সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম হন। ২০১০ সালের পর থেকে তিনি কাশ্মীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ২০১৯ সালে তিনি একটি দল গঠন করেন। যার নাম জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্ট। সেই সময় পাকিস্তানের তৎকালীন রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করায় ৩৭০ ধারা বাতিলের সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দিল্লি বিমানবন্দরে আটক করা হয় ফয়জলকে। ওই সময় তিনি বিদেশে যাচ্ছিলেন। দিল্লি বিমানবন্দরে আটক করার পর ফয়জলকে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীনগরে। সেখানেই তাঁকে আটক করে রাখা হয়।