পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রমযানের শেষ জুম্মার দিনটিকে আল কুদস দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রসংঘ। ফিলিস্তিনের মযলুম মানুষদের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ ও ইসরাইলের কব্জায় থাকা বায়তুল মুকাদ্দাস বা আল আকসা মসজিদ উদ্ধারে সংকল্প ঘোষণা করার দিন। মসজিদ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মহল এই দিনটিকে পালন করবে। কিন্তু এ বছরও “আল কুদস দিবস” পালনের আগে থেকেই সংঘাত শুরু হয়েছে আল আকসায়। রমযানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় জুম্মায় ইসরাইলি সেনাদের আচমকা হামলায় রক্ত ঝরেছে আল আকসায়। তাই আল বিদা জুম্মায় ঝুঁকি না নিয়ে পঙ্গপালের মত ফিলিস্তিনিরা ছুটে আসছেন জেরুসালেমে।
ভারতীয় সময় থেকে আড়াই ঘণ্টা পিছিয়ে জেরুসালেম। ভারতে জুম্মার নামাযের পরই জানা যাবে মসজিদুল আকসায় জুম্মার নামায কতটা শান্তি পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে এ বছরে। গত বছর রমযানে ইসরাইলের হামলার পর পরই যুদ্ধ বেধে যায়। এ বছরও তাই টান টান উত্তেজনা রয়েছে মধ্যপ্রাচ্য সহ মুসলিম দুনিয়ায়। তৃতীয় জুম্মায় দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষ এই মসজিদ চত্বরে সমবেত হয়েছিল।
জর্ডনের ওয়াকফ এনডাউমেন্ট অফিসিয়ালি এই মসজিদের কেয়ারটেকার হলেও এটি রয়েছে ইসরাইলি সেনাদের ঘেরা টোপে। জর্ডন স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া ফিলিস্তিনিদের সাহসের প্রশংসা করে বিবৃতি দিয়েছেন।
জুফরান নামের এক ফিলিস্তিনি মহিলার টু্ইট সাড়া ফেলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি লিখেছেন ১০ বছর পর আমি সফল হলাম আল আকসা প্রবেশে। প্রতি বছর রমযানে এখানে আসি আর প্রতিবছরই আমাকে গ্রেফতার করেছে ইসরাইলের সেনা। এ বছর আমি সফল, মসজিদে এসেছি সমস্ত বাধা পেরিয়ে। জুফরান মসজিদে প্রবেশ করে সেজদায়ে পড়ে কাঁদছেন আর সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। তিনি লিখেছেন আমি গ্রেফতার হতে পারি জেনেও এবার এসেছি। কিন্তু আল্লাহ আমাকে সুযোগ করে দিয়েছেন। মসজিদের পরিচালন কমিটির বক্তব্য, তিন লক্ষরও বেশি মুসল্লি উপস্থিত হবেন আলবিদা জুম্মায়। আগের জুম্মায় ২০০ রো বেশি মুসল্লি আহত হয় , এবং গ্রেফতার রয়েছে। ৫০০ রো বেশি ফিলিস্তিনি আল্লাহর নবী সাঃ এর স্মৃতি বিজড়িত এই ঐতিহাসিক মসজিদের উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। তাই আলবিদা জুম্মা তাদের কাছে আবেগের, উচ্ছাসের শপথ নেওয়ার দিন।