পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ দেশের শতাধিক প্রাক্তন আমলা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ঘৃণার রাজনীতি এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিষয়ে চিঠি লিখেছেন। কন্সটিটিউশনাল কন্ডাক্ট গ্রুপ নামের ওই গোষ্ঠীতে ‘আইএএস’ ‘আইএফএস’ এবং ‘আইআরএস’ রয়েছেন যারা প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
দিল্লির প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নাজীব জঙ্গ সহ ১০৮ জন প্রাক্তন অফিসার ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। গণমাধ্যমে দেওয়া বিশেষ আলাপচারিতায় নাজীব জঙ্গ বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িকতার নতুন যুগ চলছে। সরকারের কাছ থেকে যে পদক্ষেপ প্রত্যাশিত ছিল তা হচ্ছে না, ডিএম-এসপি ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না, এটা উদ্বেগজনক! মুসলিম শিখ ও খ্রিস্টানদের অন্তর্ভুক্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন শক্তিশালী নেতা ভারত তার কথা শোনে। তিনি যদি একটা ইঙ্গিত দেন তাহলে এসব ঘটনা বন্ধ হবে। যদি বন্ধ নাও হয় তা কমে যাবে। এ সব চলতে পারে না, তাই আমরা ওই চিঠি লিখেছি।’
চিঠিতে লেখা হয়েছে কর্ণাটক-অসম-মধ্য প্রদেশ-উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লিতে এটি ঘটছে তাই এর পিছনে একটি প্যাটার্ন রয়েছে। এই বিষয়ে নাজীব জঙ্গ বলেছেন, আপনি বলতে পারেন যে এই দাঙ্গাগুলোর বেশিরভাগই ঘটেছে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে। তামিলনাড়ু,-কেরল-তেলেঙ্গানার মতো বাকি রাজ্যগুলোতে এমন কিছুই দেখা যায় না। সেখানকার প্রশাসন বেশি সচেতন, তা নিয়ন্ত্রণ করার সদিচ্ছা ও ক্ষমতা রয়েছে। এটা ভারতের জন্য ভালো নয় যে ২০ শতাংশ সংখ্যালঘু নিরাপদ বোধ করে না।
আমলাতন্ত্রের মধ্যে সাম্প্রদায়িকীকরণের প্রশ্নে, নাজীব জঙ্গ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে সব ধরণের অফিসার আছে। সরকারের লিখিত নির্দেশ আছে যে কোনও দাঙ্গা হলে তা সামাল দেওয়ার দায়িত্ব এসপি এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের। তবে মনে হচ্ছে তারা কিছুটা চাপে আছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক যে তারা তাদের কাজ করছেন না।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ধর্ম সংসদ না হওয়ার প্রশ্নে নাজীব জঙ্গ বলেন, দিল্লি দাঙ্গার সময় সর্দার প্যাটেল বলেছিলেন, আমি চাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে আসুক, অন্যথায় এসপি-ডিএম দায়ী হবে। এবং দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে আসে। সেজন্য এসপি ও কালেক্টরের নিয়ন্ত্রণ না থাকলে ভুল হচ্ছে। স্বাধীনতার অমৃত উৎসবে দেশে যাতে শান্তি বিরাজ করে সেজন্য ওই আবেদন জানানো হয়েছে বলেও দিল্লির প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নাজীব জঙ্গ মন্তব্য করেছেন।