পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তীব্র জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কা। ঋণ জর্জরিত শ্রীলঙ্কা ডলারের অভাবে তেল কিনতে পারছে না। জ্বালানি সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। দেশেজুড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
এবার কি শ্রীলঙ্কার পথেই হাঁটতে চলেছে নেপাল। অদূর ভবিষ্যতে নেপালের অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়েও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কার কথা বলছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে এবার দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশটিতে চলছে জ্বালানি তেলের তীব্র সংকট। করোনার কারণে নেপালে ১২ লাখ অতিরিক্ত মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে। কাগজের অভাবে স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। কাগজ আমদানির মতো বৈদেশিক মুদ্রা তাদের কাছে নেই। বিদেশি ঋণের ভারে জর্জরিত নেপাল। সেই ঋণের কিস্তি পরিশোধ করার মতোও অবস্থা তাদের নেই। জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া।
এই অবস্থায় দেশটির প্রধান বিরোধী দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (সিপিএন-ইউএমএল) দেশের অবস্থা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, শ্রীলঙ্কার মতো নেপালও ধীরে ধীরে এমন গভীর অর্থনৈতিক সংকটে ডুবে যাচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দলটির শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা বিষ্ণু পাউদেল, সুরেন্দ্র পাণ্ডে ও ড. যুবরাজ খতিবাদা বলেন, নেপালের অর্থনীতি সংকট ক্রমশই খারাপ পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে।
গত ১০ এপ্রিল নেপাল সরকার দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মহা প্রসাদ অধিকারীকে বরখাস্ত করে। অর্থনীতিকে সংকটময় অবস্থা টেনে তুলতে ব্যবস্থা না নেওয়া এবং নেপালি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিরোধের জেরে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।