মাওলানা আবদুল মান্নান : মানুষ জন্মগতভাবে সামাজিক জীব। বস্তুত সমাজবদ্ধভাবে জীবন-যাপন করা স্বভাবগত ও প্রকৃতিগত ব্যাপার। নিজের, নিজপরিবার,পরিজনের, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীর মঙ্গল কামনা ও কল্যাণ সাধন প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য। ইসলামে বিশ্বস্ততার সঙ্গে অপরের প্রতি কর্তব্য পালন ও সামাজিক দায়বদ্ধতার গুরুত্ব অপরিসীম। মহান আল্লাহ্ ঘোষণা করেছেন, ‘এবং তিনি তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। (সূরা রুম, আয়াত – ২১)। এই ঘোষণার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে মানুষকে মূলত সামাজিক জীব হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এক মাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে একজন রোযাদার সামাজিক জীবনে একজন আদর্শ মানুষ হিসাবে পরিণত হতে পারে।
সুশৃঙ্খল জীবন গঠনঃ রোযা মুসলিম নরনারীকে সুশৃঙ্খল জীবন-যাপনে অভ্যস্থ করে তোলে। গোটা রমযান মাসজুড়ে থাকে কঠিন নিয়ম-কানুনের বাধ্য বাধকতা। প্রতিদিন সুবেহ সাদিক থেকে নিয়ে তারাবীহ্ নামায পর্যন্ত চলে এক কঠোর অনুশীলন।
ঐক্যবদ্ধ জীবনযাপনঃ সিয়াম সাধনার মাধ্যমে একজন রোযাদার ঐক্যবদ্ধ জীবন-যাপনের প্রশিক্ষণ লাভ করেন। মূলত ইসলামের সব ইবাদাতের মধ্যেই একতাবদ্ধ হওয়ার শিক্ষা নিহিত আছে।
উত্তম কাজের প্রতিযোগিতা : প্রত্যেকটি রোযাদার রমযান মাসে কল্যাণমূলক কাজে প্রতিযোগিতা করে থাকে না। রমযান মাসে একটি নফল ইবাদাতে ফরয ইবাদাতের ৭০ থেকে ৭০০ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। এই মাসে একজন রোযাদারকে ইফতার করালে ও অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। এই মাসে একজন রোযাদারকে ইফতার করালে ও অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। তাই মুসলমানেরা ভালো কাজের প্রতি যোগিতায় নেমে পড়েন। যাতে পরোক্ষভাবে সমাজের উপকার সাধিত হয়। নবী করীম সা. বলেন : ‘রোযা মানুষকে, কৃচ্ছতা সাধনের শিক্ষা দেয়। একজন রোযাদার নিয়নের আবর্তে পড়ে দু’বেলা পরিমিত আহার গ্রহণ করে। ফলে তার মধ্যে পরিমিত বোধ জন্ম নেয়। তাতে খাদ্যশস্যের অপচয় কম হয়।
সহবস্থান ও সম্প্রীতিঃ রোযা-সমাজ বসবাসকারী মানুষের সঙ্গে পরস্পর সম্প্রীতি, সুসম্পর্ক ও সংহতি বজায় রেখে চলার শিক্ষা দেওয়া সামগ্রিকভাবে এতে সমাজেরই উপকার হয়। আবদুল মান্না ‘যিনি সৃষ্টি-জীবের প্রতি সবচেয়ে বেশি উপকার করতে চেষ্টা করেন, আল্লাহর কাছে তিনি প্রিয়তম (আল হাদিস)