পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাক প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানোর সময় মোদি জানিয়েছেন, সন্ত্রাসমুক্ত অঞ্চলে শান্তি ও ও স্থিতিশীলতা চায় ভারত। ১৭৪ ভোট পেয়ে ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন নওয়াজ শরিফের ছোটভাই শাহবাজ শরিফ।
ইমরানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের পতনের পর প্রধানমন্ত্রীর পদ শাহবাজের দখলে যাওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। অনাস্থা ভোটে ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট পড়ে ১৭৪টি। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইমরানকে সরিয়ে দিতে ১৭২টি ভোটের প্রয়োজন ছিল। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য শাহবাজ শরিফের পক্ষে ভোট পড়েছে সেই ১৭৪টি।
১৯৫০ সালে পঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণ করেন শাহবাজ শরিফ। শরিফ একজন ব্যবসায়ী বলে অধিক জনপ্রিয়। ঘনিষ্ঠ মহলে কাজপাগল মানুষ হিসেবে পরিচিত শাহবাজ শরিফ।
ইত্তেফাক গ্রুপ অব কম্পানির অংশীদার তিনি। ১৯৮৫ সালে লাহোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ পঞ্জাবের আইনসভার সদস্য হিসেবে তিনি প্রথম নির্বাচিত হন সালে। ১৯৯০ সালের নির্বাচনে জাতীয় পরিষদের সদস্য হলেও প্রাদেশিক রাজনীতি থেকে পুরোপরি বিচ্ছিন্ন হননি। ১৯৯৩ সালে তিনি ফের পঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হন এবং বিরোধীদলীয় নেতার ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৭ সালে পঞ্জাবের নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানে জেনারেল পারভেজ মোশাররফের শাসন জারি হওয়ার আগ পর্যন্ত শাহবাজ নিজ পদে বহাল ছিলেন। এরপর প্রায় এক দশক বড় ভাই নওয়াজ শরিফের সঙ্গে তাঁকে সৌদি আরবে নির্বাসনে থাকতে হয়। দেশে ফিরে ২০০৮ সালে তিনি ফের পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। বিভিন্ন অর্জন নিয়ে তিনি ২০১৩ সালে তৃতীয়বারের মতো পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। শাহবাজ নিজেকে বলতেন প্রদেশের ‘প্রধান ভৃত্য’।