পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ‘রাজ্যপালকে ব্লক করে দিয়েছি, উনি বার বার বিরক্ত করেন। তাই ওঁনাকে ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লক করে দিয়েছি। বাধ্য হয়েছি ব্লক করতে। এর জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।’ সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করা করার সময় এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘ওঁনার ট্যুইট দেখে আমার ইরিটেশন হয়। সবাইকে ভয় দেখাচ্ছে, প্রতিটি বিল আটকে রেখেছে রাজ্যপাল। ওঁনার ইন্ধনেই বিজেপির গুণ্ডারা লোক মারছে।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যপাল সবার মাথার ওপরে সুপার পাহারাদারি করছেন। অসাংবিধানিক কথা বলেন। মা ক্যান্টিনে কেন ভাত, ডিম রান্না হচ্ছে, তার টাকা কোথা থেকে আছে সেই কৈফিয়ৎ ওনাকে দিতে হবে? এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, রাজভবন থেকেই হচ্ছে পেগাসাস। সবার ফোন ট্যাপ হচ্ছে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকেই রাজ্য করোনা বিধিনিষেধের মেয়াদ বৃদ্ধি ও আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল কলেজ খোলার কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই এক সাংবাদিকে প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যে সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। রাজ্যপাল বলেন, আজ ভোটার্স ডে। কিন্তু বাংলায় গণতন্ত্র নেই। বাংলায় ভোটারদের স্বাধীনতা বিপদের মুখে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ভয়ানক, ভয়াবহ। রাজ্যপাল হিসাবে আমি চিন্তিত। আমি অনেক চেষ্টা করেছি রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা, রাজ্যের প্রশাসন সংবিধান অনুসারে চলুক। রাজ্যকে প্রশ্ন করলে, তার কোনও উত্তর দেওয়া হয় না। মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান জানেন না। মুখ্যসচিব, ডিজিপি রাজ্যপালের প্রশ্নের জবাব পর্যন্ত দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না।
রাজ্যপাল কটাক্ষ করে বলেন, বাংলায় আইনের কোনও শাসন নেই। এখানে শাসনের আইন চলে। হাওড়া পুরসভা বিলে সই করা হয়নি বলে, মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। কোনও ফাইল রাজভবনে আটকে পড়ে নেই।
এদিন একের পর এক রাজ্যের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে থাকেন রাজ্যপাল। উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে মা ক্যান্টিন সমস্থ বিষয় নিয়ে রাজ্যে সরকারকে নিশানা করেন তিনি। রাজ্যপালের কথায়,’আমি সংবাদমাধ্যমের মধ্যে দিয়ে এই বার্তা দিতে চাই, রাজ্যপালের সাংবিধানিক অধিকার আছে। এখানে বিধানসভার অধ্যক্ষ যখন যা খুশি বলেন। উনি মনে করেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যা কিছু বলার ওনার লাইসেন্স আছে। আমি অধ্যক্ষকে একাধিকবার একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন করেছি। তথ্য জানতে চেয়েছি। বিএসএফ রেজোলিউশন নিয়ে জানতে চেয়েছি উনি জবাব দেননি। উনি কি ১৬৮ ধারা জানেন না? এভাবে একজন অধ্যক্ষ রাজ্যপালকে এড়িয়ে যেতে পারেন না। এটা সংবিধানবিরোধী। উনি যে ভাষায় রাজভবনকে লেখেন তা লজ্জার।”