পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : মাস খানেক আগের কথা। হিন্দু মহিলাকে কফিশপে নিগ্রহের খবর বেরিয়েছিল সালমান নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। বহু মিডিয়া খবর করেছিল যে একজন মুসলিম ব্যক্তি হিন্দু মহিলাকে হেনস্থা করেছে। সেই খবর নিয়ে বহু মিডিয়া বাজার গরম করেছিল। কিন্তু এতদিন পর প্রমাণ হল সব মিথ্যা। মিরাটের বাজারে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। স্ক্রল ডট ইনের রিপোর্ট অনুযায়ী, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির চাপ সত্ত্বেও ওই মহিলা সালমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করতে অস্বীকার করেছেন।
বহু মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে বন্ধুর সঙ্গে যখন ওই মহিলা কফি খাচ্ছিলেন, তখন তিনি এই হেনস্থার শিকার হন। এমনও দাবি করা হয়েছিল যে অভিযুক্ত সালমানকে নাকি ওই মহিলাই প্রথম জুতোপেটা করেন। পরে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের লোকেরা জড়ো হয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। কিছু মিডিয়া এমনও লিখেছিল যে, সালমান নাকি মেয়েদের বাজারে পেলেই এইভাবেই হেনস্থা করে ।
মহিলা জানান তিনি এবং তাঁর বন্ধু সালমানের সঙ্গে কোল্ড ড্রিংক খাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় বজরং দলের কর্মীরা এসে তাদের নাম জিজ্ঞাসা করেন। যখন তারা জানতে পারে লোকটির নাম ‘সালমান এবং তিনি মুসলিম, তখন তারা তাকে চপ্পল দিয়ে মারতে শুরু করে।
বাস্তবে ঠিক কি ঘটেছিল তা জানতে স্ক্রোল ডট ইন, মহিলা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। মহিলার মা বলেন, ওরা আমাকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ লিখিয়ে নিয়েছিল । আসলে “আমি লিখতে বা পড়তে পারি না। তারা মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাতে আমার বুড়ো আঙুলের ছাপ নিয়ে নেয় ।” আমি থানায় পরিষ্কার বলেছি যে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই। মহিলা জানান, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ পাঞ্জাবে কর্মরত মহিলার ভাইকে টেলিফোন করে বারবার চাপ দিচ্ছিল। সেলিমকে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছিল । কিন্তু হিন্দুত্ববাদীদের সেই চেষ্টা বানচাল করে দেন মহিলা নিজেই।
সালমানের পরিবার বিশেষ করে তাঁর মা তাকে অন্য মামলায় ফাঁসানোর আশঙ্কায় রয়েছে। তার মা চায় সালমান শহরে গিয়ে তার ভাইয়ের সাথে থাকুক। সত্য কথা বলার জন্য মহিলা ও তাঁর পরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সালমান নিজেও। তিনি বলেছেন মহিলা ও তাঁর পরিবার বাঁচালেন তাঁকে।