দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর: সোমবার সকালে রামপুরহাটে মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাসকে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য পথে নামতে। রামপুরহাট শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে তিনি মানুষজনদের মাস্ক পড়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি এবং যাদের কাছে মাস্ক ছিল না তাদের মধ্যেও মাস্ক বিতরণ করেন তিনি।করোনা ও ওমিক্রণ সংক্রমণের গ্রাফ হু হু করে বৃদ্ধির কারণে সরকারি বিধিনিষেধ জারি করে স্বাস্থ্য দফতর। তারপরই তৎপর হতে দেখা গেল জেলা পুলিশ প্রশাসনকে। এব্যাপারে সোমবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ হোটেল ও লজ মালিকদের সঙ্গে এক প্রস্থ বৈঠকে বসে প্রশাসন। সেখানে ঠিক হয় পনেরো তারিখ পর্যন্ত কোন হোটেলে পঞ্চাশের বেশি ভিড় করা যাবে না। বাইরের পর্যটকদের ক্ষেত্রে বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও নিয়ম বিধি বলবৎ থাকবে।
শান্তিনিকেতনে সোনাঝুরির তিন নং হাটে সাত দিন শিল্প হাট বসে। সোমবার সকালে টোটো করে হাটে পসরা নিয়ে আসার সাথে সাথে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ ব্যবসায়ীদের নিরস্ত্র করে। তাদের করোনাবিধি সম্পর্কে জানিয়ে হাট বন্ধ করে দেওয়া হয় পনেরো জানুয়ারি পর্যন্ত। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই নিয়ম কার্যকর থাকার কথাও বলা হয়। জানা গেছে, একইভাবে সৃজনী শিল্প গ্রাম এবং অজয় ও কোপাই নদীর ধারে যে সমস্ত পিকনিক স্পটগুলো আছে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নলহাটির দেবগ্রামে পিকনিক করতে এসে ঘুরে যায় অনেকে। পিকনিক করতে আসা মহিলারাও একইভাবে ঘুরে যান। তারা জানান, বাড়ি গিয়ে রান্না করবেন। সরকারি বিধিনিষেধ বিষয়ে তাঁদের জানা ছিল না।