পুবের কলম ডেস্ক : এক পড়ুয়ার পাশে এসে দাঁড়াল সুপ্রিম কোর্ট। কিছু সমস্যার কারণে আইআইটি-বোম্বেতে ভর্তি হতে পারেনি ওই ছাত্র। শীর্ষ আদালত সংবিধানের ১৪২ ধারায় নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ওই পড়ুয়ার জন্য একটি আসন সৃষ্টি করার নির্দেশ দিয়েছে।
বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি এ এস বোপান্নার বেঞ্চ প্রিন্স জয়বীর সিং নামের ছাত্রকে একটি আসন দিতে বলেছে জয়েন্ট সিট অ্যালোকেশন কর্তৃপক্ষকে। প্রসঙ্গত, জয়বীর তপশিলি জাতিভুক্ত। বেঞ্চ জানিয়েছে, বেতন দিতে না পারার জন্য একজন তরুণ দলিত ছাত্রের ভর্তি বাতিল করাটা ভীষণ অন্যায় হবে। জয়বীর এখন এলাহাবাদে পড়ছেন। তাঁকে খড়গপুর থেকে বোম্বে হয়ে রাজধানীতে টেনে আনা হয়েছে। দ্বারস্থ হতে হয়েছে তাঁকে সুপ্রিম কোর্টে। বিষয়টিকে মানবিকভাবে দেখার কথা বলেছে বেঞ্চ। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, যে পড়ুয়ারা ইতিমধ্যেই ভর্তি হয়ে গিয়েছেন তাঁদের কোনও সমস্যা হবে না সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের ফলে। যে নয়া আসন তৈরি করা হবে সেই আসনটি কেবলমাত্র এই দলিত পড়ুয়াকেই দিতে হবে এবং পরবর্তী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকরী করতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় জয়বীরের সর্বভারতীয় স্থান হয় ২৫৮৯৪ এবং এসসিদের মধ্যে স্থান হয় ৮৬৪। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বিটেক করার জন্য তাঁকে আইআইটি-বোম্বেতে আসন দেওয়া হয়। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বেতন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। জয়বীর জানিয়েছেন, তিনি ১০ থেকে ১২ বার পেমেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ৩০ অক্টোবর, কিন্তু যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে বেতন জমা দিতে পারেননি। ৩১ অক্টোবরেও তিনি এক সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে বেতন জমা দেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু পুনরায় ব্যর্থ হন। পিটিশনে এমনটাই জানিয়েছেন জয়বীর। তিনি আরও জানান, বারবার ব্যর্থ হয়ে জেওএসএএ ও আইআইটি-বোম্বেতে মেইল করেন, কিন্তু মেইল যায়নি। উত্তরপ্রদেশের এই বাসিন্দা এরপর জেওএসএএ-তে যান, অথচ সেখানেও তিনি কোনও সাহায্য পাননি। শেষ পর্যন্ত তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।