এস জে আব্বাস, শক্তিগড়: বেড়েছে গাড়ির গতি। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দুর্ঘটনার সংখ্যা। রাজ্য সরকারও দুর্ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন। বর্ধমান ২ ব্লকের মধ্য দিয়ে যাওয়া কালনা রোডের উপরে কিছু জায়গা অন্তর কৃষকরা রাস্তাকে ব্যবহার করছেন ধান শুকানোর কাজে। এমন অনেক স্থান আছে যেখানে একটানা অনেকটা লম্বা রাস্তা জুড়ে ধান রোদে দেওয়া হচ্ছে।
পড়ন্ত বিকেলে সেই ধান রাস্তাতেই জড় করে ঢাকা দিয়ে রেখে চলে যাচ্ছেন তারা। সেই জড় করা ধান কালো ত্রিপলে ঢাকা থাকায় রাতের অন্ধকারে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাছাড়া দিনের বেলায় ধানের টানে গবাদি পশু থেকে শুরু করে হাঁস-মুরগি রাস্তার উপরে বেশ ভিড় জমাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সেখান থেকেও আশঙ্কা রয়েছে দুর্ঘটনার।
পাশাপাশি রাস্তার উপরে যেভাবে কৃষিকর্মীরা কাজ করছেন সেটাও তাদের জন্য প্রাণ সংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনো গাড়ি ওভারটেক করতে গিয়ে বা কোনো গাড়িকে পাশ দিতে গিয়ে বা শুকাতে দেওয়া ধান বাঁচাতে গিয়ে কিংবা ধানের উপর গাড়ির চাকা পিছলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। তাছাড়া, কাদামাঠ থেকে ধান নিয়ে ট্রাক্টর এবং হারভেস্টার যেভাবে পিচ রাস্তাকে কাদায় ভরিয়ে তুলছে যা যেকোনো চারচাকা বা দু চাকার জন্য খুবই বিপদজনক বলে স্থানীয়দের অভিমত।
চালক, যাত্রী ও পথচারীদের অভিযোগ, রাস্তার উপর যথেচ্ছভাবে ধান শুকানোর কাজকে কেন এভাবে চলতে দেওয়া হচ্ছে? অথচ যেখানে সরকার “সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ” এর বার্তা ব্যাপক প্রচার করে দুর্ঘটনা রোধে তৎপর। আমরা চাই অবিলম্বে স্থানীয় প্রশাসন থেকে এই ধরনের কাজ বন্ধ করা হোক।
এ ব্যাপারে বর্ধমান ২ ব্লকের বিডিও সুবর্ণা মজুমদার জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এ ব্যাপারে শীঘ্রই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অন্যদিকে বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক বলেন, আমরা এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। উল্লেখ্য, অতিসম্প্রতি লক্ষ্মী পুজোর সময় এই কালনা রোডের উপরই টোটো-ডাম্পার দুর্ঘটনায় চারজন ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছিলেন।