পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ভারতের জন্য অভিন্ন দেওয়ানিবিধি চালু করা সঠিক নয়। বোর্ডের মতে– অভিন্ন দেওয়ানিবিধি ভারতের সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ। কেন্দ্রীয় সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে অল ইন্ডিয়া পার্সনাল ল’ বোর্ড বলেছে– দেশের উপর অপ্রত্যক্ষ– আংশিক কিংবা সামগ্রিকভাবে অভিন্ন দেওয়ানিবিধি চাপিয়ে দেওয়ার বিরোধিতা করা হবে। উত্তরপ্রদেশের কানপুরে দু’দিনের বৈঠক শেষে বোর্ড বলেছে– ভারত হল বিভিন্ন ধর্মের দেশ। বোর্ডের ২৭তম অধিবেশনের শেষ দিন বোর্ড সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছে– ভারত বহু ধর্মের দেশ। সংবিধান ভারতের প্রত্যেক নাগরিককে নিজের ধর্মীয় নীতি অনুযায়ী আচার-আচরণ করার অধিকার দিয়েছে। এমনকী নিজেদের ধর্ম প্রচারেরও অধিকার সুনিশ্চিত করেছে সংবিধান। এই পরিস্থিতিতে জাতি– ধর্ম– নির্বিশেষে সব নাগরিকের উপর অভিন্ন দেওয়ানিবিধি চাপিয়ে দেওয়া সংবিধানের পরিপন্থী। সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী– বোর্ড দেশে কিছু অনিষ্টকারী ব্যক্তি পয়গম্বর হযরত মুহাম্মদের (স.) অবমাননা করে চলেছে– সেদিকে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
বোর্ড বলেছে– দুর্ভাগ্যবশত সরকার সেই সব ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলির এহেন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভঙ্গ করার জন্যই এই ধরনের কাজ করা হচ্ছে যা রাষ্ট্রবাদ এবং জাতীয়তাবাদের স্বার্থের পক্ষে বিপজ্জনক।
পয়গম্বর হযরত মুহাম্মদের (স.) অবমাননার ফলে বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানদের ধর্মীয় ভাবাবেগ আহত হয়েছে। ধর্মীয় মহাপুরুষদের যারা অবমাননা করছে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। এর জন্য প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করা হোক। বোর্ড সরকারকে এও বলেছে– আদালত যেন ধর্মীয় পুস্তকগুলির ব্যাখ্যা করার চেষ্টা না করে। এ কাজ হল বিশিষ্ট আলেম ধর্মীয় গুরুদের। কিছু মুসলিম প্রচারককে গ্রেফতারের নিন্দা করে তাদের মুক্তি দাবি করেছে বোর্ড।
বোর্ডের মতে– তাদের বিরুদ্ধে বলপূর্বক ধর্মান্তরিত করার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ষষ্ঠবার মাওলানা রাবে হাসান নাদভিকে বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হয়েছেন মাওলানা খালিদ সইফউল্লাহ– মাওলানা আরশাদ মাদানি এবং ড. সঈদ আলি নাকভি বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হয়েছেন।