বিশেষ প্রতিবেদন: গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে হালাল ট্যুরিজম। এখন এই ট্যুরিজমের চাহিদা তুঙ্গে। ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের চাহিদা বুঝে দ্রুত বেড়ে উঠছে বিশ্ব পর্যটন শিল্পের এই নতুন সম্ভাবনা। এক হিসেবে দেখা গেছে, পবিত্র হজ ও উমরাহ বাদে মুসলিমরা পর্যটনের জন্য ব্যয় করেছেন ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার, যা বিশ্বের মোট পর্যটন ব্যয়ের ১১ শতাংশ। মাঝে মহামারির কারণে কিছুটা ভাটা পড়লেও এখন আবার হাওয়া লেগেছে এই শিল্পে। ইসলামের মূলনীতি মেনে চলা মুসলিমদের জন্য সাধারণ পর্যটন গন্তব্যগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিব্রতকর। বিশেষ করে ধর্মপালন, খাবার, ঘোরাঘুরি ও রাতযাপনের ক্ষেত্রে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয় মুসলিমদের। বলা ভালো, নিজেদের জীবনধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নানা অবস্থার মুখোমুখি হন ধর্মপ্রাণরা। সেই সমস্যার সমাধান দিয়েছে হালাল ট্যুরিজম। এর সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি এখন থেকে ইসলামি রীতি মেনে সব আয়োজন করছে। হালাল ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করা বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরভিত্তিক ‘হালাল ট্রিপের’ ধারণা, ২০২৮ সালের মধ্যে হালাল ট্যুরিজমের বাজার হবে প্রায় ২২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের। হালাল ট্যুরিজমের আবির্ভাব যুক্তরাষ্ট্রের নাইন-ইলেভেন ঘটনার পর। তুরস্ক, মিশর, সউদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে প্রথম হালাল ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে ওঠে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী হালাল হোটেলের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বিমান সংস্থাগুলোও হালাল খাদ্য পরিবেশন করছে। হালাল ট্যুরিজমের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি গন্তব্য হল তুরস্ক ও মিশর। এর বাইরে উজবেকিস্তানও ভ্রমণবিলাসীদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে।