পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ‘বাংলায় রাজনীতি এত নিকৃষ্ট মানের হতে পারে সেটা ভাবতে পারিনি। আমার কাছে সকালবেলা ভিডিয়োটি আসে, দেখে আশ্চর্য হয়ে গেছি। সন্দেশখালির ঘটনা বিজেপির পরিকল্পিত চক্রান্ত।’ ‘সন্দেশখালিতে ধর্ষণের অভিযোগ’ ভিডিয়ো নিয়ে বিস্ফোরক অভিষেক। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বলেন, বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করার কাজ বিজেপি আগেও করেছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে যত রাজনৈতিক দল আছে, আজকের এই ভিডিয়োটি সমস্ত নির্লজ্জতার সীমা পার করে দিয়েছে। এই জন্যই বিজেপিকে বাংলার বিরোধী বলি। ভিডিয়োতে বলতে শোনা যাচ্ছে, কোনও ধর্ষণ হয়নি। ভিডিয়োতে বিজেপির মন্ডল সভাপতিকে দেখা যাচ্ছে। বিজেপির মন্ডল সভাপতির মুখে শুভেন্দুর নাম শোনা যাচ্ছে। বিজেপির মন্ডল সভাপতি স্বীকার করছেন, টাকা দিয়ে অভিযোগ করানো হয়েছে।’
অভিষেক বলেন তৃণমূলের যাকে ইচ্ছে গ্রেফতার করুন, বাংলাকে গ্রেফতার করছেন কেনো? শুভেন্দু নিজে বলছেন ৩৫৫ ধারার পরিবেশ তৈরি করতে জানেন তিনি। সন্দেশখালিতে রোবট নামিয়ে দিল। আসলে ২১’ এ বাংলার রায় হজম করতে পারেনি বিজেপি।
অভিষেক সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি কোনও সংবাদমাধ্যমকে ছোট করছি, কিন্তু যেকোনও সংবাদমাধ্যমের আগে সত্যিটা জেনে খবর করা উচিত। আপনারা খবর করুন, পূর্ণ স্বাধীনতা আছে, কিন্তু সত্যিটা জেনে খবর পরিবেশন করুন’।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ক্ষমা না চাইলে বুঝতে হবে, বিজেপির মদদে হয়েছে। অন্যায় না করলে তদন্তে সহযোগিতা করুন। আজ কোথায় মহিলা কমিশন, এসসি কমিশন, কোথায় তারা? কি বলবেন এই ঘটনায়? ২ হাজার টাকার বিনিয়মে ভুয়ো অভিযোগ করেছেন বিজেপির রেখা পাত্র। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছি বলেই এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা। সন্দেশখালিতে পুলিশকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। বিজেপি নেতৃত্ব ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চান, হুঙ্কার অভিষেকের।
ভোটের আগে সন্দেশখালির ভিডিয়ো নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এই ঘটনায় যথারীতি নির্বাচনী সভা থেকে সুর চড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, পুরোটাই বিজেপির নাটক, আমি আগেই বলেছিলাম।