পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : প্রজ্বল রেভান্নার সেক্স স্ক্যান্ডাল নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। প্রজ্বলের কুকীর্তির তীব্র নিন্দা করে রাহুল বলেন, আজ পর্যন্ত এই ধরনের কোনও জনপ্রতিনিধি দেখিনি, যিনি মহিলাদের ওপরে অকথ্য অত্যাচারের পরেও আশ্চর্যজনকভাবে চুপ থাকেন। হরিয়ানার মহিলা কুস্তিগীরদের ওপরে যৌথ হেনস্থা থেকে মণিপুরে মহিলাদের উপর নির্যাতন সবেতেই উনি (মোদি) অপরাধীদের আড়াল করে গেলেন নীরব থেকে।
রাহুল কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে চিঠি লিখে, প্রজ্বলের ব্যাভিচার, যৌন হেনস্থার শিকার হওয়া নির্যাতিতা সহ তাদের পরিবারের পাশে রাজ্য সরকারকে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। চিঠিতে রাহুল তীব্র নিন্দা করে লিখেছেন, এই ধরনের অভিযুক্তরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের স্নেহধন্য। তাঁদের আশীর্বাদ রয়েছে অভিযুক্তের ওপরে। বর্তমান পরিস্থিতির দিকে আঙুল তুলে রাহুল লিখেছেন, আজ পর্যন্ত এই রকম কোনও জনপ্রতিনিধি দেখিনি, যিনি (মোদি) মহিলাদের উপরে শত অত্যাচারের পরেও এইভাবে নীরব থাকতে পারেন। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে রাহুল লিখেছেন, আমার বিশেষ অনুরোধ দয়া করে প্রজ্বলের নির্যাতনের শিকার হওয়া নির্যাতিতাদের পাশে থাকুন। তারা ন্যায়বিচারের লড়াই পাওয়ার জন্য আমাদের কাছ থেকে সহযোগিতার দাবি রাখে। এটি আমাদের সকল দলের মিলিত দায়িত্ব হওয়া উচিৎ যে, যারা এই অপরাধের জন্য দায়ী তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনতে হবে। রাহুল লেখেন, প্রজ্বল দিনের পর দিন মহিলাদের ওপরে মানসিক, শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে সেই ঘটনাগুলির ভিডিয়ো করে রেখেছে। যারা (নির্যাতিতা) তাকে ভাই বা ছেলের মতো দেখতেন তাদের সম্মান নষ্ট করেছে প্রজ্বল। যে আমাদের মা-বোনেদের এইভাবে নির্যাতন করেছে তার কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি হওয়া উচিত।
রাহুল লেখেন, জেনে অবাক হচ্ছি যে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জি দেবরাজে গৌড়া প্রজ্বলের সেক্স স্ক্যান্ডাল, তার যৌন কেচ্ছার ভিডিয়ো সবই জানিয়েছিলেন। তাও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এর পরেও বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে সেই প্রজ্বলকে শুধু প্রার্থীই করেনি, প্রধানমন্ত্রী মোদি এই গণধর্ষকের হয়ে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে তদন্তে যাতে ব্যাঘাত না আসতে পারে, তার জন্য দেশের সরকার এই ধরনের একজন অপরাধীকে দেশ থেকে পালানোরও লাইসেন্স দিয়েছে। রাহুল লেখেন, আমি জানি কর্নাটকের সরকার প্রজ্বল রেভান্না কাণ্ডে সিট গঠন করেছে, সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করার জন্য, তাকে দ্রুত ভারতে প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানিয়েছে। তবে মা-বোনেদের ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই কংগ্রেসের নৈতিক দায়িত্ব।