পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: শনিবার, ২৭ এপ্রিল অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং বাংলার কৃষক ও মেহনতী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু শেরে বাংলা এ কে (আবুল কাশেম) ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
শনিবার সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে তারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। মহান এ নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য এ কে ফজলুল হকের অসীম মমত্ববোধ, ভালবাসা এবং কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে সবসময় অনুপ্রাণিত করবে। এ কে ফজলুল হক এদেশের কৃষক সমাজের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে আজীবন কাজ করেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, কৃষকদের অধিকার আদায়ে এ কে ফজলুল হক সবসময় সোচ্চার ছিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে তিনি দরিদ্র কৃষক এবং প্রজাদের স্বার্থরক্ষায় কৃষি ঋণ আইন এবং প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) আইনসহ বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেন। জমিদাররা রায়তদের ওপর যে আবওয়াব ও সেলামি ধার্য করতেন, তিনি তা বিলোপ সাধন করেন। তাঁর সাহসী নেতৃত্ব, উদার ও পরোপকারী স্বভাবের জন্য জনগণ তাঁকে ‘শেরে বাংলা’ বা ‘বাংলার বাঘ’ খেতাবে ভূষিত করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের সঙ্গে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিল। শোষণ, বঞ্চনাহীন ও প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম করেছেন। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে তিনি বাঙালি জাতিকে বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলার সুযোগ করে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং এ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল অনুষ্ঠানের সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করেন।