পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: কখনও ইরান, হামাস, আনসারুল্লাহ, কখনও বা হিজবুল্লাহ। আক্রমণে যেন জেরবার যায়নবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল। আমেরিকা তাদের পাশে আছে। ইরান ও হামাসের বিরুদ্ধে জোরদার আক্রমণ করার জন্য ৮০০০ কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য পাঠাচ্ছে নতুন করে। তারপরও গত ২০০ দিনের যুদ্ধে গাজায় একা কুম্ভ হামাসকে হারাতে পারেনি নেতানিয়াহু বাহিনী। ২০০ দিনে বারবার লড়াইয়ে ফিরে এসেছে হামাস। সেখানে ইসরাইলি বাহিনী নৃশংসতার নজির দেখিয়েছে শুধু। হত্যা করেছে ৩৪১৮৩ জনকে। আহত ৭৭১৪৩। নিহতের মধ্যে ১৪৫০০ জনই শিশু। এদিনও তারা হামলা করে ৩২ জনকে খুন করেছে। এক খুনে জল্লাদ বাহিনীতে পরিণত হয়েছে তারা।
বিশ্ব জানে খান ইউনিস থেকে ইসরাইল সেনা প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু তার আগে সেখানে তারা যে নৃশংস কাজ করেছে, তা প্রকাশ্যে আসছে ক্রমশ। গত কয়েকদিন ধরেই খান ইউনিসের আল নাসের হাসপাতাল চত্বরে চলছে গণকবর খোঁড়ার কাজ। ইসরাইলি সেনারা মেরে পুঁতে রেখে চলে গিয়েছে ফিলিস্তিনিদের। সেই গণকবরে এখন প্রিয়জনদের লাশ খুঁজে পাবার আশায় হন্যে হয়ে পড়েছেন ফিলিস্তিনিরা। এখনও খনন কাজ চলছে। শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জনের লাশ পাওয়া গিয়েছে আল নাসের মেডিক্যাল সেন্টারের গণকবরে। আরও লাশ আছে, এমনটাই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। কারণ তাদের স্বজনরা নিখোঁজ। তাদেরকে যে খান ইউনিসের এই হাসপাতাল চত্বরেই খুন করে পুঁতে ফেলে চলে গিয়েছে ইসরাইলি সেনারা তা স্পষ্ট। খান ইউনিসের বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগের পরিচালক কর্নেল ইয়ামেন আবু সুলেমান বলেছেন, কিছু লাশ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে কাউকে মাঠেই ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের জীবিত কবর দেওয়া হয়েছিল নাকি হত্যা করে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল তা আমরা এখনো জানি না। বেশির ভাগ লাশই পচে গেছে।
তবে যুদ্ধের ময়দানে যায়নবাদীরা যে চাপের মুখে তা স্পষ্ট। ২০০ দিন পরেও কোনও উল্লেখযোগ্য অর্জন নেই তাদের। মিলিটারি ইনটেলিজেন্সের প্রধান ইস্তফা দিয়েছেন দায় স্বীকার করে। এরই মাঝে ইসরায়েলের একটি সামরিক স্থাপনায় হামলা করেছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহর এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর ইসরাইলের হানিতা এলাকায় একটি সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলা করেছে হিজবুল্লাহ। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন হিসেবে এ হামলা করা হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে কিছুই স্বীকার করেনি ইসরাইল।
লেবাননের সশস্ত্র এই গোষ্ঠী ঘোষণা দিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের হত্যা ও ইসরাইলের বোমাবর্ষণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের হামলা চলবে। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। নির্বিচার হামলায় ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাঁদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু।