দেবশ্রী মজুমদার, হাঁসন: “বিজেপি এমপিরা বলছে, মনরেগা, বাড়ি, রাস্তা করতে দেবে না। নাগরিকের সব অধিকার কেড়ে নেবে। ওয়ান, ইলেকশন, ওয়ান পার্টি, ওয়ান লিডার”। তারাপীঠের কাছে কড়কড়িয়া মাঠে জনসভায় এভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ লাগলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে জেলা নেতৃত্ব, মন্ত্রী সহ দুই প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এদিন প্রায় আড়াই ঘন্টা দেরিতে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার মাঠ সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নামে। প্রখর দাবদাহের মধ্যেও মানুষ ছিল কাতারে কাতারে। সব থেকে বেশি উপস্থিতি ছিল মহিলাদের। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, স্বৈরাচারী শাসন চলছে। দেশে গণতন্ত্র নেই। সারা দেশ জেলখানা। যার জন্য সারা বিশ্বের কাছে আমরা লজ্জিত। বিজেপির কথা মতো, একটাই জামা পরতে হবে, একটাই খাবার খেতে হবে প্রচার বাবু যা বলে দেবেন। ধর্ম থাকবে না, তপশিলি,মতুয়াদের অস্তিত্ব থাকবে না, আদিবাসী ও সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব থাকবে না। হিন্দুর অস্তিত্ব ভাবছেন থাকবে? থাকবে না। আমাদের হিন্দুত্ব ওরা মানে না।
বিবেকানন্দর হিন্দুত্ব ওরা মানে না। আমরা মাতারার দেশের লোক, কঙ্কালীতলা, রামকৃষ্ণ ও বামাখ্যাপার হিন্দুত্ব বিশ্বাস করি। যেখানে হিন্দু ও মুসলিম একসাথে থাকবে। আগে বলতো মমতা দুর্গাপূজা ও সরস্বতী পুজো করতে দেয় না। ওরা বলছে এখানে মা বোনেদের সম্মান থাকে না। আমি বলি আগে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখ। উত্তর প্রদেশে কী হচ্ছে দেখ। বাংলার মায়েরা সরস্বতী ও লক্ষ্মী। মহিলাদের সম্মান দেন না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আমরাও সম্মতি দিয়েছি।
বিজেপিরা চায় বাংলায় ভোট ভাগ হোক। ভোটটা সিপিএম কংগ্রেস নিয়ে নিক। কংগ্রেস আমাদের গালি দেন। সিপিএমের সঙ্গে চৌঁত্রিশ বছর ধরে সম্পর্ক নেই। যদি বলেন, দিল্লিতে আমরা বিজেপি বিরোধিতা করব। বাংলায় তৃণমূল যত বেশি আসন পাবে, দিল্লিতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই তত জোরদার হবে। প্রথম ফেজের ভোটে বুক ধড়ফড়ানি শুরু হয়েছে।
ভেবে দেখুন আট বছর ধরে যারা শিক্ষকতা করেছেন তাদের চার সপ্তাহের মধ্যে সুদসহ টাকা ফেরত দিতে হবে। কোথায়
পাবেন তারা এত টাকা? নির্বাচনের আগে এটাই ছিল গদ্দারের বোমা? অভিষেককে তো বোমা মারতে গেছিল? রেকিও হয়েছিল। ওরা বলছে ইসবার চারশো পার। একুশে বলেছিল দুশো পার। আশি পের করতে পারে নি।
ওরা যদি এতই নিশ্চিত, তাহলে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে কেন? এবার বিজেপি আসবে না। ইণ্ডিয়া জোটে তৃণমূল সরকার গড়বে।