পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বন্দিদশার মেয়াদ ফের বাড়িয়ে দিল দিল্লির আদালত। আগামী ৭ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেসিআর কন্যা, বিআরএস নেত্রী কে কবিতাকেও ৭ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সিবিআই ও ইডির আনা বিষয় বিবেচনা করে বিশেষ বিচারক কাবেরী বাওয়েজা ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি করে একই মামলায় কেজরিওয়াল ও কে কবিতার ফের ৭ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন। আরও ১৪ দিন তিহাড় জেলেই কাটাতে হবে।গত ২১ মার্চ আবগারি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। ১ এপ্রিল থেকে তিহাড় জেলে রয়েছেন তিনি।
ভোটের মুখে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি, তিহাড় জেলে বন্দিদশা, বার বার জামিন খারিজ নিয়ে জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে দিল্লির রাজনীতিতে। কেজরিওয়ালকে ইনসুলিন দেওয়া নিয়ে তিহাড় জেলে টালাবাহানা শুরু হয়। সোমবার রাতে তিহাড় জেলেই ইনসুলিন দেওয়া হয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। আপের বক্তব্য, অনেক টালবাহানার পর অবশেষে ইনসুলিন পেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। রাতে কেজরিওয়ালের সুগারের মাত্রা ৩২০’তে পৌঁছে যায়।
আম আদমি পার্টি তাদের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, ‘শেষমেশ বিজেপি ও জেল কর্তৃপক্ষের টনক নড়ল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ইনসুলিন দেওয়া হয়েছে তার সুগার ৩২০’তে পৌঁছেছে। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র ভগবান হনুমানের আশীর্বাদ এবং দিল্লিবাসীর সংগ্রামের কারণে। আমরা আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইনসুলিন পৌঁছে দিতে সফল হয়েছি।’
তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সুগারের মাত্রার বেড়ে যায়। কেজরিওয়ালকে স্বল্পমাত্রার ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছিল। সোমবার সন্ধ্যা ৭’টার দিকে রক্তে তার সুগারের মাত্রা ছিল ২১৭। এইএমস টিম বলেছিল যে মাত্রা ২০০ পেরিয়ে গেলে তাকে কম ডোজ ইনসুলিন দেওয়া যেতে পারে। জেলের চিকিৎসক এসে পরীক্ষার পর তাকে ইনসুলিন দেওয়া হয়। সোমবার সন্ধ্যায় এএমস চিকিৎসকদের পরামর্শে কেজরিওয়ালকে দুটি ইউনিট কম ডোজ ইনসুলিন দেওয়া হয়েছিল। এএমস বিশেষজ্ঞরা, ২০ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্সের সময়, তিহারের চিকিৎসকদের পরামর্শ দিয়েছিলেন রক্তে চিনির মাত্রা একটি নির্দিষ্ট মাত্রা অতিক্রম করে গেলে তবে তাকে ইনসুলিন দেওয়া যেতে পারে।
ইনসুলিন নিয়েই তিহাড় কর্তৃপক্ষকে চিঠিতে কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, চিকিৎসকরা তাকে যতবার দেখতে এসেছেন ততবার তিনি জানিয়েছেন তার হাই লেভেল সুগারের কথা। প্রতিদিন ২৫০-৩২০ সুগার থাকে। ফাস্টিং সুগার লেভেলও দেখিয়েছি। প্রায় প্রতিদিন তা ১৬০-২০০র মধ্যে থাকে। আমি ইনসুলিন চেয়েছিলাম। তাহলে কিভাবে বলা হচ্ছে আমি ইনসুলিন চাইনি’।