নয়াদিল্লি, ২৩ এপ্রিল: ভুল স্বীকার করে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল পতঞ্জলি। সেই বিষয়টি মঙ্গলবার শুনানীতে উল্লেখ করেন পতঞ্জলির পক্ষে দাঁড়ানো সিনিয়র আইনজীবী মুকুল রোহতগি। কিন্তু সেই ক্ষমা প্রার্থনার বিজ্ঞাপন দেখে সন্তুষ্ট হতে পারল না সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহসানুদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চে এই মামলা চলছে। আজ বিচারপতিগণ জানতে চাইলেন সাংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের সাইজ কেমন, এনলার্জ করা বা বড় করে ছবি বানিয়ে যে বিজ্ঞাপন কাটিং পেস করা হয় সেটা দেখে প্রশ্ন করেন, অরিজিনাল বিজ্ঞাপন দেখান। বিচারপতিগণ বলেন, আপনারা পতঞ্জলি পণ্যের যে বিজ্ঞাপন দিয়ে ছিলেন সংবাদপত্রে ক্ষমা প্রার্থনার বিজ্ঞাপন সেই একই সাইজের।
পতঞ্জলির আইনজীবী জানান, বড় বিজ্ঞাপন দিলে প্রচুর খরচ হবে। আমরা ৬৭টি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন ছেপেছি। আদালত জানতে চায় পণ্যের বিজ্ঞাপন সংবাদপত্রের ফুলপাতা জুড়ে দেওয়ার সময় কি খরচ কম হয়ে থাকে? আপনাদের অরিজিনাল বিজ্ঞাপন কি তাহলে দুরবীন দিয়ে দেখতে হবে?
আজ মঙ্গলবারও শুনানির সময় পতঞ্জলির প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর রামদেব এবং বালাকৃষ্ণান সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন কাটিং অরিজিনাল জমা দেওয়ার কথা বলে শীর্ষ কোর্ট। উল্লেখ্য, এলোপ্যাথির বিরুদ্ধে প্রচার করে পতঞ্জলি এবং পতঞ্জলির ওষুধকে করোনা রোগের একমাত্র প্রতিরোধকারী হিসেবে তুলে ধরা হয়। এই নিয়ে মামলা করে এলোপ্যাথি চিকিৎসকদের সংগঠন।
সেই মামলায় ইতিপূর্বে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে এ ধরনের কোনও বিজ্ঞাপন আর দেওয়া যাবে না। তা সত্ত্বেও বিজ্ঞাপন দেওয়া হলে আদালত অবমাননার মামলা হয়। সেই মামলায় রামদেব ও বালাকৃষ্ণানকে আদালতে সশরীরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। এই দু’জন আদালতে ভুল স্বীকার করেন এবং আগামীতে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েও ভুল স্বীকার করতে চায় পতঞ্জলি। কিন্তু সেই বিজ্ঞাপনের সাইজ দেখে অসন্তুষ্ট হন বিচারপতিগণ। বলেন, পতঞ্জলির ভুল স্বীকার বিজ্ঞাপন কি মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখতে হবে নাকি? আগামী ৩০ এপ্রিল শুনানীতে সংবাদপত্রের সেই বিজ্ঞাপন নিয়ে আসতে বলে কোর্ট।