পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : যৌবনে স্বাভাবিকভাবেই প্রথম বিয়ে, পরে শুধুমাত্র উত্তরাধিকার পাওয়ার জন্য প্রথম পক্ষের সম্মতিতে বিবাহ বিচ্ছেদ না করেই দ্বিতীয় বিয়ে, কিন্তু তার পরেই কাহিনির পট পরিবর্তন। দুই স্ত্রীকে ছেড়ে এবার লিভ ইন সম্পর্কে থাকতে শুরু করেছেন স্বামী। আর এখান থেকেই সব সমস্যার সূত্রপাত।
ঘটনায় প্রথম পক্ষের স্ত্রী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন ও দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ঘটনার সাক্ষী দিয়েছেন। এই এত ঘটনা যাকে নিয়ে তিনি ৫৮ বছর বয়সী এক স্কুল শিক্ষক। গুজরাতের কাথালল টাউন শহরের খেদার ঘটনা। দুই স্ত্রী থানায় স্বামীর নামে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলে লিভ ইন পার্টনার ও তার মায়ের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৮ বছর বয়সে ওই শিক্ষক প্রথম বিয়ে করেন তখন প্রথম স্ত্রীর বয়স ছিল ১৫ বছর। ৬ বছরের সেই দাম্পত্যে তাদের দুই কন্যাসন্তান হয়। কিন্তু পুত্রলাভের আশায় প্রথম পক্ষের অনুমতি নিয়ে আইনিভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ না করে তিনি ফের ২০০০ সালে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। দ্বিতীয় সম্পর্কে তার এক পুত্র ও কন্যাসন্তান হয়। চার সন্তানকে নিয়ে খেদার মাতার তালুকে তাদের সুখের সংসার ছিল। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন।
চারমাস ধরে দ্বিতীয় স্ত্রীর স্বামীর কাণ্ডকারখানায় সন্দেহ হতে শুরু করে। তার পরেই সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্য আসে। দুই স্ত্রীকে ফেলে লিভ ইন সম্পর্কে থাকতে শুরু করেছেন শিক্ষক স্বামী। দুই স্ত্রী স্বামীকে ফিরে আসার জন্য অনুরোধও জানিয়েছেন।
দ্বিতীয় স্ত্রী জানিয়েছেন, পরিবারের মান সম্মানের জন্য তিনি স্বামীর ব্যাপারে চুপ ছিলেন। কিন্ত গত শুক্রবার লিভ ইন সঙ্গীর বাড়ির লোকজন তাদের বাড়ি এসে তাদের মারধর করে ও প্রাণে মারার হুমকি দেয়। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয় তারা শীঘ্রই বিয়ে করতে চলেছেন।