পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: এবার লোকসভা ভোটে বিজেপি জিতলে সংবিধান বদলাবে। দেশে আগুন জ্বলবে। ‘ম্যাচ ফিক্সিং’-এর অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় শাসকদলকে আক্রমণ করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। মঙ্গলবার রাহুলকে পাল্টা নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তরাখণ্ডের রুদ্রাপুরে এক জনসভায় মোদি রাহুলের এই মন্তব্যের জবাব দেন। রাহুলকে বিরোধী শিবিরের রাজকুমার বলে খোঁচা দেন তিনি।
মোদি বলেন, ‘বিরোধী পক্ষের রাজকুমার সম্প্রতি বলেছেন যদি বিজেপি এবার ক্ষমতায় আসে দেশে আগুন জ্বলবে। ওঁরা ৬০ বছর ক্ষমতায় থেকেছে। আর এখন মাত্র ১০ বছর ক্ষমতায় না থেকেই ওরা বলছে দেশে আগুন জ্বলবে।’ ভোটের আগে গণতান্ত্রিক দেশে এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করা যায় কি সেই বিষয়ে জণগণের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। মোদি বলেন ‘যদি আপনার মনে করেন এই ধরনের ভাষা প্রয়োগ করে কংগ্রেস অন্যায় করেছে তাহলে যোগ্য জবাব দিন। বেছে বেছে ওদের সাফ করুন। ময়দান থেকে মুছে ফেলুন।’
রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে সভা করেছিল বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। ‘লোকতন্ত্র বাঁচাও’ সমাবেশের মঞ্চে ছিলেন একাধিক বিরোধী নেতানেত্রীরা। পরে বিরোধীদের কথার প্রতিধ্বনি শোনা যায় প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনারের গলাতেও। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ মন্তব্যের পরে এ বার প্রায় একই ধরনের মন্তব্য করলেন দেশের প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা তিন মাস পরে, অর্থাৎ নির্বাচন শেষ হলেও করা যেত।’
প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার কুরেশি বলেন, ‘ইডি বা আয়কর বিভাগের পদক্ষেপের জেরে যদি কোনও দলের পুঁজিতে টান পড়ে, তা হলে তারা কি ঠিকঠাক ভাবে ভোটে লড়তে পারবে? এই প্রশ্ন আমাদেরও ভাবাচ্ছে।’ তাঁর মতে, ‘নির্বাচন কমিশন চাইলে এমন পদক্ষেপের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করতেই পারে। না হলে লড়াইয়ের ময়দানে সাম্য নিশ্চিত করা যাবে কী ভাবে?’