পুবের কলম প্রতিবেদক: সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে কমিশন তৎপর। আর সেই তৎপরতাকে সঙ্গে নিয়েই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেমে নেই। একদিকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়ে দিলেন কোনোভাবেই কোনওরকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। এমতাবস্থায় রাজ্যে সাত দফায় নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানালেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের সব বুথেই মোতায়েন করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
৫৯৪২টি বুথ এবার রাজ্যে মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত হবে এবং প্রতি জেলায় একটি করে বুথ হবে যা পরিচালনা করবে বিশেষ ভাবে সক্ষম ভোট কর্মীরা। এর পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবান গোলা এবং উত্তর চব্বিশ পরগনার বরাহনগরে হবে এই দুটি নির্বাচন। তবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এদিন পরিষ্কার ভাষায় জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলি যেন এবার তাঁদের ভাষার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখে। এই নির্দেশকে উপেক্ষা করলে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
অন্যদিকে, আঠারো বছরের নিচে কোনও ছেলে বা মেয়েকে কোনও রাজনৈতিক দল তাদের ছেলে বা মেয়েকে তাদের প্রচারের কাজে ব্যাবহার করতে পারবেন না। অর্থাৎ এই প্রথমবার ভোটার কোনও কাজে ছোটদের ওপরে নজর দিল। এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৬৮.৪ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যা, প্রথম থেকে উদ্বেগ বাড়িয়েছে একদিকে রাজনৈতিক দল অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের। আগামী ১৮ মার্চ সোমবার দুপুর বারোটা থেকে রাজ্যের সব জেলাশাসক এবং রিটার্নিং অথরিটিদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে ভিডিও কনফারেন্স করবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সহ্য অন্যান্য আধিকারিকরা।
এর পাশাপাশি কমিশন সূত্রে খবর, ২৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে প্রথম দফা নির্বাচনে এবং আগামী সপ্তাহে রাজ্যে আসছে ফের বড় সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমনটাই খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে। এখন দেখার বিষয়, একদিকে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা অন্যদিকে সব ব্যপারেই নির্বাচন কমিশনের কড়া পদক্ষেপ এই দুইয়ের মাঝে আদপে রাজ্যে কতটা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করাতে সক্ষম হয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ২২টা এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিকে, সমস্ত জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের প্রতিদিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহ প্রত্যেকের নিজের নিজের ক্ষেত্রের সামগ্রিক রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর।