পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ১৮ তম লোকসভা ভোটের (Election loksova) দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হবে।
প্রথম দফার ভোট ১৯ এপ্রিল – উত্তরবঙ্গে ৪ কেন্দ্রের ভোট (কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি)। দ্বিতীয় দফা ২৬ এপ্রিল ( রায়গঞ্জ, বালুরঘাট,দার্জিলিং)। তৃতীয় দফা ৭ মে (মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ, বহরমপুর)। ১৩ মে চতুর্থ দফায় ভোট (বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, নারাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর, বীরভূমে ভোট) । পঞ্চম দফা ২০ মে (বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, শ্রীরামপুর, হুগলি, উলুবেড়িয়া, আরামবাগে ভোট) । ষষ্ঠ ২৫ মে (কাঁথি, তমলুক, ঘাটাল, পুরুলিয়া, বাকুঁড়া, বিষ্ণুপুর, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম )। সপ্তম দফা ১ জুন (দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা উত্তরে ভোট)। বাংলা, উত্তরপ্রদেশ, বিহারে ৭ দফায় ভোট। ৪ জুন গণনা। ১৯ এপ্রিল-সিকিম,অরুণাচল প্রদেশ। ১৩ মে-অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা। লোকসভা ভোটের আগেই দেশজুড়ে ২৬টি কেন্দ্রের উপনির্বাচন।
চলতি বছরের ১৬ জুন শেষ হচ্ছে চলতি লোকসভার মেয়াদ। এবারের ভোটারের সংখ্যা ৯৭ কোটি। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১০. ৫ লক্ষ। ২ বছর ধরে ভোটের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রথম ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লক্ষ। ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে ভোটারের সংখ্যা ২১ কোটি। ৮৫ বছরের বেশি ৮২ লক্ষ। ২০১৯ এ সাত দফায় ভোট হয়েছিল। আজ থেকে লাগু হবে আদর্শ আচরণ বিধি। পুরুষ ভোটার ৪৯. ৭। মহিলা ভোটার ৪৭ কোটি ১০ লক্ষ । দেশজুড়ে ভোটের জন্য ৫৫ লক্ষ ইভিএম মেশিন। ভোট কেন্দ্রগুলিতে পানীয় জলের ব্যবস্থা, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা শৌচাগারের ব্যবস্থা। প্রতিবন্ধীদের জন্য র্যাম্পের ব্যবস্থা। বিশেষভাবে সক্ষম ৮২ উর্ধদের জন্য বাড়ি থেকে ভোটদানের সুবিধা। মোট লোকসভা কেন্দ্র ৫৪৩। সাড়ে ১০ লক্ষের বেশি ভোটদান কেন্দ্র। ভোটে অভিযোগ পেলেই ১০০ মিনিটের মধ্যে পদক্ষেপ। ভোটে সন্ত্রাস রুখতে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১৯৫০ নাম্বারে ফোন করলেই ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা।
ভোটে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা থাকবে না বলে নিশ্চিত করল কমিশন। সন্তাস মোকাবিলায় নির্বাচন কমিশনারের কন্ট্রোল রুম থাকবে। সন্ত্রাস মুক্ত করতে পদক্ষেপ নিতে হবে ডি এম ও এসপিদের। অভিযোগ এলেই কড়া পদক্ষেপ। কড়া ভাষায় কমিশনের বক্তব্য, অস্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভোটের কাছে ব্যবহার নয়। ভোটের আগে, কিংবা পরে ভোট সন্তাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবাধ ও রক্তপাতহীন ভোট করাতে বদ্ধ পরিকর কমিশন। এক জায়গায় তিন বছর থাকলে আধিকারিকদের বদলির নির্দেশ। কোনও রকমভাবে হিংসা হলে কড়া পদক্ষেপ নিক জেলা প্রশাসন। কারুর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারা থাকলে ব্যবস্থা। ভোটারদের উপর টোপ রুখতে পদক্ষেপ। অর্থের অপব্যবহার রুখতে বদ্ধ পরিকর কমিশন। কমিশনের স্পষ্টবার্তা ভোটে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা থাকবে না। ১২ রাজ্যে পুরুষ ভোটারের চেয়ে মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি। ভুয়ো খবর ছড়ালে কড়া পদক্ষেপ নেবে নির্বাচন কমিশন। ভোট প্রক্রিয়ায় নজরদারিতে দেশজুড়ে থাকবে ২ হাজার ১০০ পর্যবেক্ষক। রাজনৈতিক দলগুলিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান কমিশনের।