লন্ডন, ৮ মার্চ: আফ্রিকা অঞ্চলে দাস কেনা-বেচায় যুক্ত থাকার কথা আগেই স্বীকার করেছিল চার্চ অব ইংল্যান্ড। ক্ষতিপূরণ দিতেও রাজি হয়েছিল চার্চ। এবার সেই ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ১০ গুণ বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছে উপদেষ্টামণ্ডলী। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ক্রীতদাস প্রথা বিলুপ্ত করে ১৮৩৩ সালে। কিন্তু ১৯০ বছর পরও তার রেশ রয়ে গেছে দেশে। দাসপ্রথা বিলুপ্ত করার পর ব্রিটিশ ওয়েস্ট ইন্ডিজে দাস-মালিকদের ২০ বিলিয়ন অর্থাৎ ২ হাজার কোটি পাউন্ডের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই সব চুকে যাওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। চার্চ অব ইংল্যান্ডকে দাস কেনা-বেচার দায় থেকে মুক্ত হতে বহুদিন অপেক্ষায় থাকতে হতে পারে। গত বছর গির্জার ধর্মযাজকদের নেতারা স্বীকার করেন যে, চার্চ অব ইংল্যান্ড সাউথ সি কোম্পানি নামের এমন একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা পেয়ে আসছে যারা অষ্টাদশ শতকে দাস ব্যবসা করত। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে চার্চ অব ইংল্যান্ডকে দাসপ্রথার ভুক্তভোগীদের স্বার্থে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড দেওয়ার পরামর্শ দেন চার্চ কমিশনাররা। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী, ৯ বছরে এই অর্থ বিনিয়োগ করার কথা। ৯ বছরে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের ক্ষতিপূরণের বড় একটা অংশ আসবে চার্চ অব ইংল্যান্ডের সদস্যদের কাছ থেকে। প্রসঙ্গত, সারা বিশ্বের অ্যাংলিকান খ্রিষ্টানদের প্রধান গির্জা চার্চ অব ইংল্যান্ড। তাদের সদস্য সংখ্যা সাড়ে আট কোটির মতো। সোমবার চার্চ অব ইংল্যান্ডকে ওভারসাইট গ্রুপ বলেছে, ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড যথেষ্ট নয়। স্বাধীন এই উপদেষ্টামণ্ডলী আরও বলে, চার্চ অব ইংল্যান্ডকে তাদের তহবিল দশগুণ বাড়াতে হবে।