পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দিল্লিতে জোটের ভাগাভাগিতে শিলমোহর পড়ল। আসন্ন লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ৩ টি ও আপ ৪টি সিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। সূত্রের খবর, কংগ্রেস পূর্ব এবং উত্তর পশ্চিম দিল্লি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। এই সপ্তাহে বেশ কয়েক দফা আলোচনার পর সাতটি আসনের মধ্যে কংগ্রেসকে তিনটি আসন ছাড়তে রাজি হয়েছে আপ।
এক বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, আপ তার পছন্দের একটি লোকসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কংগ্রেসের প্রস্তাবে সম্মত হয়, পরে পরবর্তীদের দ্বারা প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার পরে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। জোটের সম্পূর্ণ তালিকা শুক্রবার প্রকাশিত হতে পারে। কংগ্রেস দলটি চাঁদনি চক, নয়াদিল্লি বা পশ্চিম দিল্লি সংসদীয় আসনগুলির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। তবে প্রায় নিশ্চিত যে কংগ্রেস পূর্ব এবং উত্তর পশ্চিম দিল্লি লোকসভা আসন থেকে প্রার্থী দেবে।
দিল্লিতে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির ফর্মূলা আপ কেন মেনে নিয়েছে তা নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, অন্যান্য রাজ্যে আপের দাবি মেনে নিতে রাজি হয়েছে কংগ্রেস। আর তাতেই দিল্লিতে কংগ্রেসকে ৩টি আসন ছাড়তে রাজি হয়েছে আম আদমি পার্টি। সূত্রের খবর, হরিয়ানায় একটি এবং গুজরাটে দুটি আসন আপকে ছাড়তে চলেছে কংগ্রেস। গোয়ায়, দক্ষিণ গোয়া কেন্দ্রটি কংগ্রেসকে ছেড়ে দেবে আপ। ফলে ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের মধ্যে কংগ্রেস এবং আপের মধ্যেই আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনও অসন্তোষ নেই বলে মনে করা হচ্ছে।
এমনকি, পঞ্জাবে যে আলাদা লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও দুই দলের মধ্যে বিরোধ নেই। দিন কয়েক আগেই, দিল্লিতেও আসন ভাগাভাগি নিয়ে ইন্ডিয়া জোট ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। পঞ্জাবে আপ-কংগ্রেস আলাদা আলাদাভাবে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপ সাংসদ সন্দীপ পাঠকও জানিয়েছিলেন, দিল্লিতে কংগ্রেসকে মাত্র ১টি আসন ছাড়তে চায় আপ। গত লোকসভা নির্বাচন, বিধানসভা নির্বাচন এবং পুর নির্বাচনে কংগ্রেসের অবস্থা উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন,‘কংগ্রেসের একটি আসনও প্রাপ্য নয়।’ তবে, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ৪-৩ ফর্মুলাই দেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সেই ফর্মুলাই আপ মেনে নিতে চলেছে বলে সূত্রের দাবি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বিধানসভা ভোট কংগ্রেসের হাত থেকে পঞ্জাব কেড়েছিল আপ। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন ভগবন্ত মান। কংগ্রেস ও আপের ভোট কাটাকুটির জেরে দুই রাজ্যে আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপি ফায়দা তুলতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই নিজেদের মতান্তর ভুলে আসন সমঝোতা করার উদ্যোগ নিয়েছে দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।