পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ৮৩ জন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার হলদোওয়ানি বনভুলপুরা হিংসার ঘটনা তীব্র নিন্দা করে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাধা রাতুরিকে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে বনভূলপুরা সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। এছাড়াও প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট পদক্ষেপ নিয়েও চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন আইএস অফিসাররা। অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ত্রাণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসারদের কনস্টিটিউশনাল কন্ডাক্ট গ্রুপ মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে এবং প্রশাসনের পদক্ষেপকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে নিন্দা করেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বনভুলপুরায় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর ৮ দিন কারফিউ জারি রাখার প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ভুল। মুখ্যসচিরকে লেখা চিঠিতে ৮৩ জন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসারের নামও লেখা রয়েছে। কনস্টিটিউশনাল কন্ডাক্ট গ্রুপের প্রাক্তন ৮৩ জন অফিসার ২০২৩ সালে লাভ জিহাদ মামলাতেও দু’বার চিঠি লিখে তাঁদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
উত্তরাখণ্ডের হলদোওয়ানির বনভুলপুরা এলাকায় কারফিউ আরও শিথিল করা হয়েছে এবং নৈনিতাল জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এখন কেবল রাত ১০ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে।
উল্লেখ্য, হলদোওয়ানির বনভুলপুরতে ৮ ফেব্রুয়ারি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বুলডোজার চালিয়ে মরিয়ম মসজিদ ও একটি মাদ্রাসা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। মসজিদ ও মাদ্রাসার উপর বুলডোজার চালানোর খবর ছড়িয়ে পড়তেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ওই দিন পুলিশের গুলিতে নিহত হন ফাইম কুরেশি, প্রকাশ কুমার, মুহাম্মদ আনাস, জাহিদ, শাবানের। এরপর এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। জারি করা হয় কারফিউ। কোর্টের নির্দেশ ছাড়াই পুলিশ বুলডোজার চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মুসলিমরা। প্রশাসনের তরফে বুলডোজার নিয়ে মাদ্রাসা ও মসজিদ ভাঙতে এলে স্থানীয় মুসলিমরা বাধা দিতে গেলেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, গেরুয়া সরকারের পুলিশ ইচ্ছা করেই এরকম পরিস্থিতি তৈরি করতে প্ররোচনা দিয়েছিল। তাদের উসকানির জন্যই এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বনভুলপুরার ঘটনায় অভিযুক্ত এজাজ কুরেশির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে প্রশাসন।