পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে দিতে চার্চের ওপর হামলা বজরং দলের। ধর্মীয় উপাসনালয় রক্ষা করতে গুরুতর আহত ১৪ জন। ৩ জনের অবস্থা সংকটজনক । জাতি-দাঙ্গার আশঙ্কায় জারি ১৪৪ ধারা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের যানওয়ারা গ্রামে। রাস্তার ধারে গির্জা থাক চাইছে না বজরং দলের লোকেরা। বহু বছর ধরেই চলছে ঝামেল। এবার সেটি হিংসাত্মক রূপ নিল।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রাজ্যের বহু পুরানো মেথোডিস্ট গির্জা ভেঙে সংলগ্ন রাস্তা সম্প্রসারণের প্রস্তাব দিয়েছিল বজরং দল। যা মানতে নারাজ ছিল গির্জা কর্তৃপক্ষ। গির্জার সদস্যদের মুখে ‘না’ শুনে এদিন বেজায় রেগে যায় উপস্থিত বজরং দলের কর্মীরা। জোরপূর্বক গির্জা ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা চালায় তারা। নিজেদের ধর্মীয় উপাসনালয় রক্ষা করতে মরিয়া হয়ে ওঠে উপস্থিত সদস্যরা। যা নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এমনকী উপস্থিত মহিলা, শিশুদেরও ছাড় দেয়নি দুষ্কৃতীরা। তাঁদের ওপর চালায় অকথ্য অত্যাচার।
পুলিশি অভিযোগে চার্চের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা দলিত, আদিবাসী হওয়ার সুবাদেই এই রকম অত্যাচার চালানো হয়েছে। কমপক্ষে ২০০ জন দুষ্কৃতী তাঁদের ওপর চড়াও হয়। দেশে সংখ্যালঘু হওয়া কি অপরাধ? সংশ্লিষ্ট ঘটনায় স্থানীয় মোকিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁরা। তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইন, ১৪৩ (বেআইনি সমাবেশ), ১৪৭ (দাঙ্গার জন্য শাস্তি), ১৪৮ (দাঙ্গা),১৪৯ (বেআইনি সমাবেশ) ), ২২৪ (কোনও ব্যক্তির দ্বারা তার আইনানুগ আশংকা প্রতিরোধ বা বাধা), এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৩ (ফৌজদারী ভীতিপ্রদর্শন) ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বহুজন সমাজ পার্টির রাজ্য সভাপতি এদিন নির্যাতিতদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে আটক করে। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় বিশপ এম এ ড্যানিয়েল সর্বভারতীয় এবং মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন এবং সম্ভাব্য সমাধানের জন্য সাইবারাবাদ পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানায় তাঁরা।