পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মিমি চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার মিমি জানিয়েছেন, সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তা এখনও গ্রহণ করেননি। মিমি এও জানিয়েছেন, তিনি প্রার্থী হতে চান না। অভিনেত্রীর কথায়, তাঁর বিশেষ কারও’র বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই।
যাদবপুরের সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী সম্প্রতি চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারপর সরকারি ও সংগঠনের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেখান থেকে বের হওয়ার পর মিমি চক্রবর্তী বলেন, ‘বিশেষ কারও’র বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে আমি সাংবাদিক বৈঠক করতাম। এভাবে দলের সুপ্রিমোর সঙ্গে দেখা করতাম না।’ মিমি বলেছেন, আমি রাজনীতি বিদ নই। আর রাজনীতি আমার জন্য নয়। এর আগে কোনও দল বা ব্যক্তিগতভাবে কারও’র বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করিনি। দুদিন আগেহ সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। সাংসদ তববিলের ‘খরচে আমরাই রেকর্ড রয়েছে। আবার কিছু মানুষ পার্লামেন্টে অ্যাটেনডেন্স নিয়ে প্রশ্ন করছে। কিন্তু আমার কথা হল, রাজনীতি ছাড়া আমার অন্য পেশাও রয়েছে। তাই সব দিন আমার সংসদে উপস্থিত হওয়াও সম্ভব হয়নি, সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এই নিয়ে বাজে আচরণ করছেন কেউ কেউ। তবে দিদি ইস্তফা গ্রহণ করেননি। তবে এদিন বলেন, সাংসদ পদ ছাড়লেও দল ছাড়ার কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিমি যে চিঠি দিয়েছিলেন তাতে তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, যাদবপুর লোকসভা এলাকার দলীয় নেতা কর্মীদের একাংশ তাঁকে বারবার এবং নানাভাবে অপমান করেছেন। এই অপমান তিনি নিতে পারছেন না, তাঁর খুব মানসিক চাপ হচ্ছে। এই প্রসঙ্গেই বৃহস্পতিবার ইস্তফা দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ তাঁরা স্থানীয় নেতা। তাঁদের বিরুদ্ধে দল অ্যাকশন নিলে আমি আমার সিদ্ধান্ত বদল করব, তবে ভোটে প্রার্থী হতে চাই না।’
কাদের কাছ থেকে বাধা পেয়েছি, সেটা আমার দলের সুপ্রিমোকে জানিয়েছি। এখানেই থামেননি মিমি। তাঁর কথায়, দরাজনীতি আমার জন্য না। এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি যদি কিছু বাজে কাজ করতাম বা করেছি, তাহলে তো আপনারাই সবার আগে দেখাতেন।
মিমি বলেন, তৃণমূল দল আমাকে প্রার্থী করেছে তাই আমি দলের সুপ্রিমোকেই আগে জানিয়েছি। উনি অ্যাকসেপ্ট করলে আমি লোকসভার স্পিকার কে পাঠিয়ে দেব। দলের সদস্যপদ এখনও রয়েছে। আইনত রাজনীতি থেকে সরতে গেলে যা যা করার সেটা আমি করেছি। আমি প্রার্থীও হতে চাই না।