সেখ কুতুবউদ্দিন: মাদ্রাসাগুলিতে ডিজিটেলাইজেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আগেই। বহু মাদ্রাসায় স্মার্ট ক্লাস রুম গড়ে তোলা হয়েছে। সেই মাদ্রাসাগুলিতে ডিজিটেলাইজেশনের উপর আরও জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান সংখ্যালঘু দফতরের আধিকারিক ওবাইদুর রহমান। তিনি বলেন, মাদ্রাসাগুলিতে স্মার্ট ক্লাস রুম গড়ে তোলা হচ্ছে। পড়ুয়াদের স্বার্থে আইটি, সহ অন্যান্য ক্লাসের উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
মাদাসা শিক্ষা দফতর সূত্রের ‘বর, পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে নেওয়া হচ্ছে একাধিক ব্যবস্থা। মাদ্রাসায় স্বয়ংক্রিয় অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম-নিয়েও কোনও কোনও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ প্রয়াস নিয়েছে।
অডিও-ভিজ্যুয়াল মাধ্যমে পড়াশোনার ব্যবস্থা, পড়ুয়াদের আইটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যবস্থার পাশাপাশি ডিজিটাল পরিচয়পত্রও ডিজিটেলাইজেশনের ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছে অনেক মাদ্রাসা। সংখ্যালঘু দফতর জানিয়েছে, অনেক মাদ্রাসা স্মার্ট ক্লাস রুম থাকলেও কিছু মাদ্রাসায় বা্কি রয়েছে। সেগুলিতেও যাতে এই ব্যবস্থা চালু হয়, তার উদ্যোগ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দফতর। চলতি শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই এই কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর।
এই প্রসঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ড. আবু তাহের কমরুদ্দিন বলেন, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অধিকাংশ মাদ্রাসায় স্মার্ট ক্লাস রুম চালু হয়েছে। সব মাদ্রাসায় যাতে স্মার্ট ক্লাসের সুযোগ পায়, তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিএমই আবিদ হোসেন বলেন, আলোচনা চলছে। তবে কীভাবে চালু করা হবে, আলোচনার মাধ্যমেই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তিনি বলেন, স্মার্ট ক্লাস রুম, পরিকাঠামো সহ বিভিন্ন ভাবে মাদ্রাসাগুলি সহযোগিতা পাচ্ছে বলে জানান তিনি।
এই বিষয়ে মাদ্রাসার এক প্রধান শিক্ষক বলেন, রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ ভালো। তবে বহু মাদ্রাসায় অপারেটরের অভাবে মেশিনগুলি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ। পড়ুয়ারা সুবিধা পায়, তার জন্য শিক্ষকদের আইটি, স্মার্ট ক্লাস রুমের যন্ত্রাংশ ব্যবহারের প্রশিক্ষণের দাবি জানিয়েছে একাধিক মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরাও পাচ্ছে ট্যাব। করোনা পরিস্থিতির পর সাধারণত দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা ট্যাব পেত। এবার থেকে স্কুলের মতো মাদ্রাসার একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারাও ট্যাব পাবে। ট্যাব বা স্মার্টফোন কিনতে একাদশ শ্রেণিতে উঠলেই পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হবে। এর জন্য ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেছে রাজ্য। বলা হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা-সহ অত্যাধুনিক পাঠক্রম প্রণয়নের মাধ্যমে ধাপে ধাপে মাদ্রাসাগুলোকে উন্নত করা হবে।
এতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। এছাড়া মিড-ডে মিলের রাঁধুনি ও সাহায্যকারীদের বেতনে ৫০০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য বাজেটে বলা হয়েছে, আগে মাসে ১০০০ টাকা করে ১০ মাস টাকা পেতেন রাঁধুনি ও হেল্পাররা। এবার থেকে প্রতিমাসে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে ২ লক্ষ ৩০ হাজার জনকে। যার জন্য বরাদ্দ ১৪০ কোটি টাকা।