ইনামুল হক, বারাসত: ‘আমাদের যে বদনাম আছে আমরা অনেকটা ব্যাকওয়ার্ড, আমাদের এই ব্যাকওয়ার্ড বদনামটা মুছে আমরা ফরওয়ার্ড হওয়ার জন্য শিক্ষার আলোকে শিক্ষিত হয়ে, সেবার আলোকে উদ্বুদ্ধ হয়ে পুরো সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি’। রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের আমিনপুর বাজারে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে এসে এমনই বক্তব্য রাখেন দিল্লির সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের সম্মানীয়া বিচারক জেসমিন আহমেদ। তিনি বলেন ‘আমাদের পরিচয় আমরা মানুষ।এই মানুষ সমাজের জন্য সবরকম ভাবে সেবার কাজ করা যায়।’ তিনি স্থানীয় চিকিৎসক মহম্মদ জালাল উদ্দিনের সেবার ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ওষুধ পত্রের মত একটি জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থেকে রাত-বিরেত সে যেভাবে কাজ করছে তার মতো মানুষদের এমন কাজে উৎসাহ দিতে প্রয়োজনে দিল্লি থেকে বার বার ছুটে আসব। বলাবাহুল্য, জেসমিন আহমেদ এই এলাকারই ভূমিকন্যা। কর্মসূত্রে তিনি দিল্লিতে থাকেন। তাঁর পিতা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী সেখ আতিউল ইসলামের মত প্রগতিশীল মানুষের যথার্থ ভূমিকা পালনের জন্য আজ একজন সফল মানুষ হিসেবে নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছেন। সেজন্য তিনি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি তিনি এলাকাবাসীকে আহবান করেন সকল কন্যা সন্তানদেরও সমান নজরে দেখার এবং উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে সমানভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। জুহি মেডিসিন সেন্টার নামে ওই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানটির একটি শাখার উদ্বোধন হয় এদিন শাসন থানার আমিনপুর বাজারে। মাদ্রাসা ছাত্র ইয়ানুর মন্ডল পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করে। দুস্থদের মধ্যে কিছু শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়। এছাড়া বিনামূল্যে ১৫০ জনের ব্লাড গ্রুপ টেস্ট, ১৬০ জনের ইসিজি, প্রায় ১০০ জনকে ফ্রী ট্রিটমেন্ট করা হয়। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা পর্ষদের উপ-সচিব ড. আজিজার রহমান, মাওলানা সফিকুল্লাহ আশরফী, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. এ আলী, ডা. সেলিম শেখ, ডা. সাত্যকি দাস, ডা. খাইরুল করিম, জেলা পরিষদ সদস্যা সাবিনা ইয়াসমিন, আইনজীবী আসলামুজ্জামান সাহেব, স্হানীয় পঞ্চায়েত প্রধান রাখী মন্ডল প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন মামুন আক্তার।