নয়াদিল্লি, ৪ ফেব্রুয়ারি: মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা নিয়ে শুক্রবার নয়াদিল্লিতে দ্বিতীয় বারের জন্য বৈঠকে বসেছিল দুই দেশ। সেখানে আলোচনার পর ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি বিদেশমন্ত্রক। তবে মালদ্বীপের সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারত তার সেনাদের বদলি করবে দুই ধাপে। ডর্নিয়ার প্লেন ও দুটি হেলিকপ্টার অপারেটকারী সেনাদেরকেই বদলি করা হবে বলে জানা গেছে। মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, দু-পক্ষই সম্মত হয়েছে যে ভারত সরকার তিনটি উড়ান প্ল্যাটফর্ম থেকে তাদের মিলিটারিদের ‘রিপ্লেস’ করবে। প্রথমটি ঘটবে ১০ মার্চ। এই বদলি ১০ মে-র মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে স্পষ্ট করে কিছু জানানো না হলেও বলা হয়েছে যে দু-পক্ষই পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে একটি রফায় রাজি হয়েছে। মালদ্বীপে ভারতের যে উড়ান প্ল্যাটফর্মগুলি মানবিক ও চিকিৎসা সাহায্যে নিয়োজিত ছিল, সেগুলি আগের মতোই কাজ করবে। তবে সেসব হেলিকপ্টার ও বিমানের আর্মি অফিসাররা বদলে যাবে কি না তা কেন্দ্রের বিদেশমন্ত্রক জানায়নি। মালদ্বীপের বিবৃতি থেকেও এটা স্পষ্ট নয় যে আর্মির বদলে সেখানে কি সিভিলিয়ানরা যাবে নাকি এক্স-সার্ভিসম্যান পাঠানো হবে। তবে মালদ্বীপে ভারতের হেলিকপ্টার ও ডর্নিয়ার প্লেন থাকছে, এটা স্পষ্ট। অর্থাৎ, ভারতের উপস্থিতি পুরোপুরি নস্যাৎ করতে পারল না মুইজ্জু সরকার। মোদি সরকারকেও চিনপন্থী মালদ্বীপের কাছে কিছুটা নমনীয় হতে হল সেনা বদলির সিদ্ধান্তে রাজি হয়ে।
প্রসঙ্গত, মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য ১৫ মার্চের ডেডলাইন দিয়েছিল মুহাম্মদ মুইজ্জু সরকার। দেশটির বর্তমান সরকার চিন-ঘনিষ্ঠ। সেজন্যই ভারতের কোনওরকম ‘খবরদারি’ তারা চাইছে না বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। মালদ্বীপে মোট ৮৮ জন ভারতীয় সেনা রয়েছেন। স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনীর এই সেনারা সে দেশকে দেওয়া ভারতের বিমান ও হেলিকপ্টার পরিষেবার তদারক করেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় উদ্ধারকাজ চালান এবং দুর্গম দ্বীপগুলোয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করে থাকেন।