আবদুল ওদুদ: বকেয়ার আদায়ের দাবিতে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেড রোডের ধর্ণা মঞ্চ থেকে ক্যাগের রিপোর্টের মিথ্যাচারের কথা তুলে ধরে কেন্দ্রাসীন সরকার’কে একপ্রস্ত আক্রমণ শানান নেত্রী। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে ধরনা মঞ্চে ক্যাগের রিপোর্ট পড়ে শোনান মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ক্যাগের সব রিপোর্টে মিথ্যে বলা হচ্ছে। ২০০৩ সালের হিসেব চাইছে আমার কাছ থেকে। ২০০৩-এর দায় আমি নেব কেন?
আরে ২০০৩ সালে থোড়াই আমরা ছিলাম! ২০১১-র পরে আমরা যখন এসেছি, তখনকার দায়িত্ব নেব। তা সত্ত্বেও বলি, প্রত্যেকটা ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট গেছে। টোটাল মিথ্যা কথা। সত্য কখনও চাপা থাকে না।
ক্যাগ রিপোর্ট ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে মমতা বললেন, ‘বলা হচ্ছে নাকি বেনিয়ম হয়েছে। টাকা খরচ করা হয়নি। আমি একটা স্ট্রং চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছি। এখানে বসেই সই করলাম। ক্যাগ যে কথাটাই জানে না, সেটাই লিখেছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়েও তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, কেন্দ্রের এই বাজেট অশ্বডিম্ব। এই বাজেটে মধ্যবিত্তদের জন্য কিছুই নেই। কৃষকদের জন্যও কিছুই বলা হয়নি। এই বাজেট বিজেপি সরকারের শেষ বাজেট হতে চলেছে।
শুক্রবার বেলা পৌনে ১টা থেকে বাংলার বিরুদ্ধে বঞ্চনার প্রতিবাদে ধরনা শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অভিষেক যখন জন্মায়নি তখনকার তথ্য চেয়ে এজেন্সি চিঠি পাঠিয়েছে। বুঝুন তবে, দেশটাকে কোথায় নিয়ে গেছে।
২ ফেব্রুয়ারি মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ নিশ্চিত কর্মসংস্থান আইন দিবস। এদিনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনায় বসলেন একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পে প্রাপ্য বকেয়া আদায়ের দাবিতে এবং কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে। তিনি কালো পাড়ের শাড়ি পরে আসেন ধরনা মঞ্চে। মঞ্চে উপস্থিত সকলেই কালো শাড়ি ও কালো পাঞ্জাবি পড়ে ছিলেন।