পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আন্তজার্তিক সংস্থার রিপোর্টে অস্বস্তিতে কেন্দ্র। সংস্থার রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ফেক নিউজ এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানোয় বেশকিছু দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ভারত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুল তথ্য ছড়ানোর কারণে হুমকির মুখে পড়বে বেশকিছু দেশ। তাঁর মধ্যে অন্যতম ভারত। গত ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে ‘গ্লোবাল রিস্ক রিপোর্ট-২০২৪’। সেখানে বলা হয়েছে, আগামীতে হুমকির মুখে পড়বে এল সালভাদর, সৌদি আরব, পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড, চেকিয়া, রোমানিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স।
রিপোর্টে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন ঝুঁকির কথা তুলে ধরা হয়েছে। আগামী দু’বছরে ১০টি ঝুকির সম্মুখীন হতে পারে দেশগুলি। সবচেয়ে বড় ঝুকি ও হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সামাজিক ফাটল এবং মেরুকরণ। রিপোর্টে স্বল্পমেয়াদী ঝুঁকি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সামাজিক মেরুকরণ এবং শরণার্থী সংকট। এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি হিসাবে দেখা হয়েছে, পরিবেশের সংকটকে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ফেক নিউজ এবং ভুল তথ্য ছড়ানোর ফলে নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। আগামী দু’বছরে বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় দেশগুলোতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রায় ৩০০ কোটি মানুষের ভোটদানে ঝুকি তৈরি করবে। ফেক নিউজের কারণে জনগণের অস্থিরতা, বিক্ষোভ এবং ঘৃণ্য অপরাধের সংখ্যাও বাড়বে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছর প্রকাশিত সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারত ১৬১তম স্থানে নেমে আসার প্রসঙ্গও। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির রাজনৈতিক চাপের কারণে ইউটিউব এবং টুইটারের উপরও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। গুজরাট দাঙ্গার বিবিসি ডকুমেন্টারিটির লিঙ্ক সরাতে ইউটিউব এবং টুইটারের উপরও চাপ বাড়ানোর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
গ্লোবাল রিস্ক পারসেপশন সার্ভের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে রিপোর্টটি তৈরী করা হয়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫০০ বিশেষজ্ঞের অন্তর্দৃষ্টিকে যুক্ত করা হয়েছে। রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গ্লোবাল রিস্ক ইনিশিয়েটিভের তত্ত্বাবধানে জুরিখ ইন্স্যুরেন্স গ্রুপ এবং মার্শ ম্যাকলেনান। এই রিপোর্টের উদ্দেশ্যই হল প্রধান ঝুঁকিগুলি চিহ্নিত করা এবং তার মোকাবিলায় সম্ভাব্য উপায়গুলি খুঁজে বের করা।