পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: টানা দ্বিতীয় বছরের মতো জনসংখ্যা কমল চিনে। এর ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির ভবিষ্যত প্রবৃদ্ধি নিয়ে তীব্র উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ২০২৩ সালে দেশটির জনসংখ্যা ২০ লক্ষেরও বেশি কমেছে। জন্মহার কমে যাওয়া ও করোনাভাইরাসে মৃত্যুর কারণে জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে দেশটিতে।
চিনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালের শেষে চিনের জনসংখ্যা ছিল ১৪০ কোটি ৯৬ লক্ষ ৭০ হাজার। ২০২২ সালে যে জনসংখ্যা ছিল, তার তুলনায় ২০২৩ সালের জনসংখ্যা ২০ লক্ষ ৮০ হাজার কম। এর আগে, ২০২২ সালে চিনের জনসংখ্যা কমেছিল ৮ লক্ষ ৫০ হাজারের মতো। জনসংখ্যা কমার পাশাপাশি জন্মহারও প্রতি হাজারে কমে ৬ দশমিক ৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এই সংখ্যাটি ১৯৪৯ সালের পর সর্বনিম্ন। ২০২৩ সালে চিনে ৯০ লক্ষ ২০ হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। এর আগের বছর এই সংখ্যাটি ছিল ৯৫ লক্ষ ৬০ হাজার। শেষবার চিনে রেকর্ড জনসংখ্যা কমেছিল ১৯৬০ সালে। সেসময় দেশটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছিল। তবে এরপর দেশটিতে জনসংখ্যা বাড়া শুরু করে।
কিন্তু অধিক জনসংখ্যার ভয়ে ১৯৮০ সালে চিন বিতর্কিত ‘এক শিশু’ নীতি গ্রহণ করে। যার কারণে জনসংখ্যা অনেক বেশি হ্রাস পায়। ভুল উপলব্ধি করতে পেরে ২০১৬ সালে এই নীতি বাতিল করে দেশটি। ২০২১ সাল থেকে চিন দম্পতিদের তিন সন্তান নিতে উৎসাহিত করতে থাকে। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে দিন দিন জনসংখ্যা কমেই চলেছে। গত বছর ভারতের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তকমা হারায় চিন।