পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : আহমদাবাদে ছানি অস্ত্রোপচারের পর দৃষ্টিশক্তি হারায় ১৭ জন। তাদের অভিযোগ, আহমদাবাদে ট্রাস্ট পরিচালিত একটি হাসপাতালে ছানি অপারেশন করার পর তারা আংশিক ও সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা শুনবে বলে জানালো গুজরাত হাইকোর্ট। হাইকোর্ট জানিয়েছে, সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে ভিত্তিতে এই মামলাটি সামনে আসে। এই ঘটনাকে ‘অশোভনীয় ও দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে আদালত।
বিচারপতি এএস সুপেহিয়া এবং বিচারপতি বিমল কে ব্যাসের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব এবং আহমহদাবাদ গ্রামীণ পুলিশ সুপারকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে।
বিচারপতি সুপেহিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, গত ১৭ জানুয়ারি এক সংবাদমাধ্যমে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। যেখানে বৃদ্ধদের ছানি অস্ত্রোপচারের পর তারা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে বলে একটি খবর ছাপা হয়। প্রকাশিত তথ্যেই ভিত্তিতেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা শুনবে গুজরাত হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, বিষয়টি যথেষ্ঠ উদ্বেগের, রোগীদের সুস্থতার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচার করার সময় কোনও নিম্নমানের ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা বা চিকিৎসা প্রোটোকলগুলি সঠিকভাবে মানে হয়েছিল কিনা তা পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন আছে। সংবাদ প্রতিবেদনটি চিকিৎসা কর্মী বা ঘটনার জন্য দায়ী অন্য কোনও কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজ্যের দায়ের করা কোনও ফৌজদারি অভিযোগের উল্লেখ করেনি। পরবর্তী শুনানি হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে রেজিস্ট্রি প্রধান বিচারপতি সুনীতা আগরওয়ালের আদালতে বিষয়টি জমা রাখবে।
গোটা ঘটনায় গুজরাট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ তদন্তের স্বার্থে ৯ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। সেইসঙ্গে মন্ডল গ্রামের ওই চক্ষু হাসপাতালকে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত আর কোনও ছানি অপারেশন না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।