পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম দেশের মধ্যে কেরলের সরকারি স্কুলে পাঠ্যপুস্তকে পড়ানো হবে ভারতের সংবিধান। নতুন শিক্ষাক্রমে এই সংবিধান অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাজ্যের সাধারণ শিক্ষামন্ত্রী ভি শিভানকুট্টি, রাজ্য পাঠ্যক্রম কমিটির চেয়ারম্যান, মঙ্গলবার এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন।
বুধবার এক সরকারি সূত্রে খবর, সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম সরকার শিশুদের মনে সাংবিধানিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলার প্রচেষ্টায় প্রথম থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে সংবিধানের অংশ প্রস্তাবনা অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্য পাঠ্যক্রম পরিচালনা কমিটি সম্প্রতি এক দশক পর নয়াশিক্ষাক্রমে প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম, নবম শ্রেণির ১৭৩টি নতুন পাঠ্যপুস্তক অনুমোদন করেছে।
শিক্ষামন্ত্রী ভি শিভানকুট্টি জানিয়েছেন, এই প্রথম কেরলের পাঠ্যপুস্তকে ছাপা অক্ষরে সংবিধান অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। মন্ত্রী আরও স্পষ্ট করে দিয়ে বলেন, এলডিএফ (লেফট ডেমোক্যাটিক ফ্রন্ট) সরকার শুরু থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছে যে দক্ষিণের রাজ্য সাংবিধানিক মূল্যবোধ বজায় রেখে সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
স্টেট কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এসসিইআরটি) এর ডিরেক্টর জয়প্রকাশ আর কে বলেছেন, প্রথমবারের মতো কেরল এই উদ্যোগ নিয়েছে।
এসসিইআরটি হল একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা যা প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সমস্ত অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রামের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং মূল্যায়ন করে থাকে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সংবিধান রাজ্যের সমস্ত সংশোধিত পাঠ্যপুস্তকে থাকবে। এতে শিক্ষক-শিক্ষিকারাও প্রশিক্ষিত হতে পারবেন। শিক্ষক এবং ছাত্র উভয়কেই সংবিধানের প্রস্তাবনার মূল বিষয় বুঝতে সাহায্য করবে। পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যম মালায়ালম হলে, প্রস্তাবনাটি মালায়ালম হবে, তামিল পাঠ্যপুস্তকে তামিল এবং হিন্দি পাঠ্যপুস্তকে হিন্দিতে হবে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সংবিধানের তাৎপর্য সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করাই এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য।