পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: টানা ১০০ দিনের বেশি গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনিদের হত্যার পাশাপাশি চলছে নির্যাতন ও নিজ ভূমি থেকে বিতাড়ন। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের তাড়িয়ে দিয়ে সেই জমি দখলে আনতে চাইছে ইসরাইল। এভাবেই তারা যায়নবাদী রাষ্ট্রের মজবুত ভিত বানাতে চায়। ইসরাইলি হামলায় গাজা উপত্যকার বেশির ভাগ স্থাপনা, বাড়িঘরই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘ ও বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, এ যুদ্ধ সেখানকার ২৪ লাখ মানুষের জন্য মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। রাষ্ট্রসংঘের হিসাব অনুযায়ী, তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলি হামলার কারণে গাজার মোট জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গাদাগাদি করে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা এসব মানুষকে খাবার, পানি, জ্বালানি ও স্বাস্থ্যসেবা পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শীতে কাঁপছে মানুষ।
মিশর সীমান্তবর্তী গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা রাফায় আশ্রয় নিয়েছেন উত্তর গাজার বাসিন্দা মুহাম্মদ কাহিল। তিনি বলেন, ‘এখানে খাবার-পানি নেই। নেই ঘর গরম রাখার ব্যবস্থাও। তীব্র শীত আমাদের কাবু করে ফেলেছে।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, গাজার বাসিন্দারা এখন ‘নরকে বসবাস করছেন’। অবরুদ্ধ এ উপত্যকায় অত্যাসন্ন দুর্ভিক্ষ নিয়ে এর আগে রাষ্ট্রসংঘের দেওয়া হুঁশিয়ারিই তাঁর বক্তব্যে প্রতিধ্বনিত হয়েছে।
এক যৌথ বিবৃতিতে ডব্লিউএইচওর পাশাপাশি বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) ও ইউনিসেফ বলেছে, গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহ ঠিক রাখতে মৌলিক পদক্ষেপে একটি পরিবর্তন আনা জরুরিভাবে প্রয়োজন। নিরাপদ ও দ্রুততার সঙ্গে ত্রাণ প্রবেশ নিশ্চিতে সীমান্তপথ খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাগুলো।