পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ২০১৩ সালের মে মাসেই নিষিদ্ধ হয়েছিল ‘টু-ফিঙ্গার টেস্ট’। তারপরেও ধর্ষিতার শরীরে ধর্ষণের প্রমাণ খুঁজতে এই পন্থা জারি ছিল। অবশেষে ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর, এক ধর্ষণের মামলায় ধর্ষিতার ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ বা ‘দুই আঙুলের পরীক্ষা’ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল শীর্ষ আদালত।
তখন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ জানিয়েছিল, এরপর কোনও ধর্ষণ মামলায় ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ করা হলে যারা সেই পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, নিন্দনীয় আচরনের আওতায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হবে। কিন্তু, তারপরও এই ন্যক্কারজনক অনুশীলন বন্ধ হয়নি। তারই প্রমাণ পাওয়া গেল হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টে।
সম্প্রতি, এক নাবালিকা ধর্ষণের মামলায় ধর্ষিতার টু ফিঙ্গার টেস্ট করার জন্য, পালামপুর সিভিল হাসপাতালের ডাক্তারদের তীব্র নিন্দা জানায় আদালত। এই মামলার রায় দিতে গিয়ে হাইকোর্ট জানায়, টু ফিঙ্গার টেস্টের জন্য ধর্ষিতা নাবালিকাকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর এই ক্ষতিপূরণের অর্থ সংগ্রহ করতে হবে দোষী ডাক্তারদের কাছ থেকে। এই ধরনের পরীক্ষা নির্যাতিতার অধিকার এবং শারীরিক এবং মানসিক পবিত্রতা লঙ্ঘনকারী হিসাবে চিহ্নিত হওয়ার পরেও কি ভাবে ডাক্তাররা তা করল। যে চিকিৎসকরা ওই দুই আঙুলের পরীক্ষায় যুক্ত ছিল, সরকারকে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার নির্দেশ পর্যন্ত দিয়েছে।