পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ক্রমশই এগিয়ে আসছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালা প্রতিষ্ঠা পাবে। তবে রামমন্দির ইস্যুতে সপ্তমে চড়ছে মোদি সরকার বনাম শঙ্করাচার্য দ্বন্দ্ব। শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী বলেন, “যাঁরাই আমার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন তাঁরা সকলেই ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ মুলায়ম সিং যাদব, লালুপ্রসাদ যাদব, নরসিমা রাও এবং জ্যোতি বসুর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি। শঙ্করাচার্য বলেন,”এঁরা আমার সঙ্গে বিরোধ করেছিলেন তার পর আমায় কিছু করতে হয়নি। তাঁরা নিজেরাই ক্ষমতাচ্যুত এবং অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েন’। তবে সেই শঙ্করাচার্যের মুখেই শোনা যায় বাংলার প্রশংসা। রাজ্যের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, গঙ্গাসাগর মেলায় রাজ্য সরকার নিজের সীমার মধ্যে থেকে কাজ করেছে। অযথা ধর্মীয় হস্তক্ষেপ করে সাগরমেলার কোনও মর্যাদা নষ্ট করেনি’।
এই অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই ১৬ জানুয়ারি, মঙ্গলবার রাম মন্দিরে পুজো অর্চ্চনা শুরু হল। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে এদিন থেকে সাতদিনের রাম মন্দিরের পুজো-অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।
২২ জানুয়ারি, পৌষ মাসের শুক্ল কুর্ম দ্বাদশী তিথিতে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে পবিত্রতম অভিজিৎ মুহূর্তে মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা পাবে। তার আগে শাস্ত্রীয় নিয়ম মেনে কিছু রীতি পালন করা হবে। আগামী সোমবার বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৬ তারিখ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত দ্বাদশ অধিবাস নিয়ম পালিত হবে।
এছাড়া দশবিধ স্নান, বিষ্ণু পুজো এবং সরযূ নদীর তীরে গরু পুজো করা হবে। ১৭ জানুয়ারি- রামের বিগ্রহ শোভাযাত্রা করে অযোধ্যায় পৌঁছবে। ভক্তরা সরযূ নদী থেকে মঙ্গলঘটে করে জল নিয়ে আসবেন রামন্দিরে। ১৮ জানুয়ারি- গণেশ অম্বিকা পুজো, বরুণ পুজোস মর্তিকা পুজো, ব্রাহ্মণ বরণ এবং বাস্তু পুজোর মধ্য দিয়ে রামমন্দির উদ্বোধনের পুজো-পাঠ শুরু হবে। ১৯ জানুয়ারি-পবিত্র আগুন জ্বালানো হবে, এরপর ‘নবগ্রহ’ এবং ‘হবন’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। ২০ জানুয়ারি-সরযূ নদীর জল দিয়ে রাম জন্মভূমি মন্দির ধোওয়া হবে। তারপর বাস্তু শান্তি এবং অন্নদিবস রীতি পালিত হবে। ২১ জানুয়ারি– ১২৫টি কলসের জল দিয়ে রামের মূর্তিকে স্নান করানো হবে। তারপর তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হবে। ২২ জানুয়ারি– বিশেষ রীতি মেনে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে রাম বিগ্রহকে গর্ভগৃহে প্রবেশ করাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান হবে।