পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: মোবাইল ফোনে ‘চাইল্ড পর্নোগ্রাফি’ ডাউনলোড অপরাধ নয়। একটি মামলার পর্যবেক্ষণে এমনটাই রায় দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে নয়, শিশু-কিশোরদের মধ্যেও বাড়ছে পর্নোগ্রাফি দেখার প্রবণতা। বিশেষ করে ‘জেনারেশন-জেড’ (১৯৯৭-২০১২) অধীনস্থ বাচ্চাদের মধ্যে পর্নোগ্রাফি দেখার প্রবণতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে । স্কুল থেকেই এই ধরনের নেশার সূত্রপাত হয় বলে মনে করেন তিনি। যা নিয়ে যথাযোগ্য পদক্ষেপের কথা বলেন বিচারপতি এন আনন্দ ভেঙ্কাটেশ।
পকসো আইনের আওতায় এস হরিশ নামে একজনের বিরুদ্ধে ‘চাইল্ড- পর্ন’ ডাউনলোড করে দেখার অভিযোগ উঠেছিল। মামলা গড়ায় কোর্ট পর্যন্ত। এই মামলার রায় দিতে গিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্ট এদিন বলে, ‘জেনারেশন জেড’ শিশুরা এই গুরুতর সমস্যাটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছে। তাঁদের অভিশাপ বা শাস্তি নয় বরং সুশিক্ষা দিন। সঠিক পরামর্শ দিন। এই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ২৮ বছরের ওই যুবক। কাউন্সিলিং করানোর পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁকে।
কোর্টকে এদিন হরিশ জানিয়েছে, সে পর্নের নেশায় আসক্ত। তবে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি সে দেখেনি। এদিন বিচারপতি জানান, ‘ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদির আসক্তি তো ছিলই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পর্ন ছবি বা ভিডিয়ো দেখার প্রবণতা ।
বিচারপতি এন আনন্দ ভেঙ্কটেশ রায়ে উল্লেখ করেছেন, আইটি অ্যাক্ট-এর ৬৭ বি ধারায় বলা হয়েছে, অভিযুক্ত যদি শিশুদের যৌনতা সংক্রান্ত কোনও কিছু নিজে কোথাও প্রকাশ করে বা কারও সঙ্গে আদান-প্রদান করে। বা নিজে তৈরি করে। তবেই তা অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হয়। তবে আইনানুযায়ী, চাইল্ড পর্নোগ্রাফি দেখা কোনও অপরাধ নয়।