পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্রের মুকুটে নয়া পালক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে উদ্বোধন হল দেশের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল রমেশ বইস ও মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। দেশের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু তো বটেই, এমটিএইচএল বিশ্বের দ্বাদশ দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘অটলবিহারী বাজপেয়ী সেওয়ারি-নভ সেবা অটল সেতু’। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ এই সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেতুর উদ্বোধনের পর ভারতের পরিবহণগত পরিকাঠামোর উন্নতিতে একে এক মাইলফলক বলেই চিহ্নিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
৬ লেনের এই ব্রিজে ১৬.৫ কিলোমিটার রাস্তা থাকছে সমুদ্রের উপর। জমির উপর থাকছে ৫.৫ কিলোমিটার রাস্তা। আজ থেকেই এই সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়ে যাবে বলে খবর। ২১.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটি ১৭,৮৪০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। তারপর সাত বছর ধরে এই সেতুর নির্মাণ কার্য চলে। এই সেতুকে ‘ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বিস্ময় বলেই আখ্যা দিয়েছেন অনেকে। এই সেতু তৈরিতে এমন কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে তা ভারতের ইতিহাসে প্রথম। সেতুতে ব্যবহৃত আলো যাতে সমুদ্রের জলজ পরিবেশকে কোনও ভাবে বিঘ্নিত করতে না পারে সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে। ১৭টা আইফেল টাওয়ার বা ৫৫০টি বোয়িং বিমান তৈরি করতে যে পরিমাণ লোহা দরকার তার সমপরিমাণ লোহা দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এই সেতু। এটি এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যা ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প পর্যন্ত সহ্য করতে পারবে।
দক্ষিণ মুম্বইয়ের সেওরি থেকে শুরু হয়ে থানে ক্রিক, শিবাজি নগর, জসসি, নভি মুম্বইয়ের চার্লি-তে গিয়ে শেষ হয়েছে এই সেতুটি। মুম্বইয়ের ভয়াবহ যানজটকে আরও একটু সহজ করে তুলতে পারে কিনা এই অটল সেতু-তা এখন দেখার বিষয়। ঘটনাপ্রসঙ্গে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেছেন, “এই সেতুর ফলে সাধারণ মানুষের চলাচলে ব্যাপক সুবিধা হবে। দেড় ঘণ্টার পথ মাত্র ২০ মিনিটেই পাড়ি দেওয়া যাবে। মুম্বইয়ের জন্য এই সেতু হবে ‘গেম চেঞ্জার’।”