পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক:
গ্রাম থেকে মফঃস্বল প্রতিটি এলাকাতেই দিনের পর দিন বিরিয়ানির চাহিদা বেড়েই চলেছে । ছত্রাকের মতো গজিয়ে উঠছে এক একটি ফুটপাতে বিরিয়ানির দোকান। সন্ধ্যেবেলা রাস্তায় বেরোলে লাল শালু কাপড়ে মোড়া হাড়ি থেকে গরম ধোয়া ওঠা বিরিয়ানির গন্ধে মন ভরে যায়।
এই বিরিয়ানির প্রতি আগ্রহের উপর নির্ভর করেই বিরিয়ানির দোকান খুলে জীবিকা নির্বাহ করছে বর্তমানে বহু মানুষ। এর আগে সোশ্যাল মাধ্যমে একাধিক বিরিয়ানির দোকান উঠে এসেছে। পুরুষ মহিলা গৃহবধূ অনেকেই বিরিয়ানি বানিয়ে বিক্রি করতে দেখা গেলেও শিশু অথবা কিশোরীদের কখনওই দেখা যায়নি বিরিয়ানি বিক্রি করতে।
নদিয়ার মাজদিয়া বটতলার মোড়ে ইদানিং দেখা যাচ্ছে দুই কিশোরীকে বিরিয়ানি বিক্রি করতে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় তার বাবার রয়েছে একটি হোটেল। বাবাকে সাহায্য করার জন্যই দুই বোন মিলে পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার দোকানে এসে হাজির হয় বিরিয়ানি বানাতে এবং বিক্রি করতে। এখানেই শেষ নয় তাদের দোকানে পাওয়া যায় মাত্র ৬০ টাকায় চিকেন বিরিয়ানি। তবে দামে কম হলেও মানে ভাল, তাদের বানানো এই বিরিয়ানি। মূলত সম্পূর্ণ হোটেলটি তাদের বাবা চালালেও এখন পড়াশোনার ফাঁকে বাবার কাছে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে এই দুই বোন।
আর তাদের হাতের বিরিয়ানি খেতে বর্তমানে ভিড় করছেন আপামর ভোজন রসিক। তবে তারা শুধু বিরিয়ানি বানাতেই দক্ষ নয়, রান্নার পাশাপাশি পড়াশোনাতেও সমান দক্ষতা অর্জন করেছে একাদশ শ্রেণি এবং অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরতা ওই দুই বোন। জানা গিয়েছে দু’জনেই নিজেদের ক্লাসে বরাবরই প্রথম স্থান অধিকার করে রেখেছে তারা। ভবিষ্যতে ইচ্ছে রয়েছে বাবার এই দোকানটি আরও বড় করে তুলে ধরে ভোজন রসিকদের মন জয় করা।