পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে বছরের প্রথম ব্রিগেড। ক্যাপ্টেন মীনাক্ষীর নেতৃত্বে DYFI এর ইনসাফ ব্রিগেড। ‘বড় ব্রিগেড হবে’, মীনাক্ষীদের হাত ধরে বার্তা বুদ্ধবাবুর।
সৃজন ভট্টাচার্য
১) রাজ্যে ৮ হাজার স্কুল বন্ধ, কলেজে শিক্ষক নেই
২) বাংলায় স্কুল কলেজে লাগামছাড়া ফি বাড়ছে
৩) মোদি পকোড়া ভাজতে বলছে, দিদি কাশফুলের বালিশ বানাতে বলছে—
৪) দুর্নীতি মুক্ত বাংলা চাই, নিজের রাজ্যে কাজ চাই। এই দাবিতেই বামেদের আজ ইনসাফ ব্রিগেড।
হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য
১ ) ‘চাকরি, মিড ডে মিল থেকে পাথর, কয়লা, বালি চুরি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার’।
২) তৃণমূলের একজন সাংসদ, ভুয়ো আইএএসের কাছে ভুয়ো ভ্যাকসিন নিচ্ছে।
৩) যারা বলেছিল ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেব, তারা এখন বেঞ্চে বেঞ্চে দৌড়চ্ছে। সবাইকে জেলে পোরা হবে, ব্রিগেড বলছে চোর ধরো, জেল ভরো’,
৪) ইনসাফের জন্য লড়াই চলবে, হুঙ্কার হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক, ডিওয়াইএফআই
আভাস রায়চৌধুরি
১) বাংলায় পুনর্জাগরনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে
২) বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী—অথচ কেন্দ্রীয় সংস্থার কোনও নিয়োগ নেই।
৩) মজুরি বকেয়া রয়েছে গ্রাম বাংলার গরিব মানুষের– রাজ্যে কাজ, কারখানা কিছু নেই।
৪) আদানি, আম্বানিদের মতো হাঙরদের কাছে দেশের সম্পদ বিক্রি। আদানি আম্বানিরা দেশের সম্পদ লুট করছে। তৃণমূল-বিজেপি ওপরে ওপরে কুস্তি,তলে তলে দোস্তি। কেন্দ্র ও রাজ্যকে একযোগে আক্রমণ DYFI-এর প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদকের।
৫) দিল্লির সঙ্গে ‘সেটিং’ রয়েছে নবান্নের। ‘নাগপুরের প্রেসক্রিপশন’-এ চলে তৃণমূল। ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ নিয়েও সরব তিনি।
৬) আভাস বলেন, ‘‘কে চোর নয়? তৃণমূল যে চোর নতুন কথা নয়। তৃণমূল যেমন চোর, বিজেপিও তেমন চোর।’’ তিনি জানান, টাকা না পাওয়া ‘না ইনসাফি’। তার বিরুদ্ধে লড়তে হবে। গরিব মানুষের পথে যত বাধা, সবই ‘না ইনসাফি’, দাবি করেছেন তিনি।
মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়
১) যে মাঠে খেলা হবে স্লোগান দিয়েছিল, সে মাঠ আজ আমাদের দখলে।
২) এই লড়াইয়ের শেষ দেখে ছাড়ব আমরা।
৩) ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনার পাঠ পড়ে মাঠ ছাড়ব। ‘‘গোটা রাজ্যের রাজনীতির যখন দখল নেয় বামেরা, তখন ডানদিকের অসুবিধা হয়।’’ বামপন্থীদের লড়াই একটা গলিতে নয়।
৪) ‘কারা বলে বামপন্থীরা শূন্য। ওঁরা বামেদের ভয় পান। আমাদের রাগ নেই। ভয় নেই। কিন্তু আশঙ্কা রয়েছে, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ রুচিরুজির কথা বলছে কি না!’’
৫) ছোট থেকে ব্রিগেডে আসছেন। বাবার সঙ্গে। তখন অন্য দিকে হত মঞ্চ। এর পরেই চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের কথা তুললেন তিনি। জানালেন, টিভি ক্যামেরার সামনে নিজের শরীরের সব থেকে সুন্দর অংশ চুল কেটে ফেলেছেন যে শিক্ষিকা, তার পাশে দাঁড়াতে হবে। মনে করালেন সিপিএমের নিহত কর্মীদের কথা।
৬) ‘ইনসাফ যাত্রা’ শেষ হয়েছে। ইনসাফ চেয়ে রবিবার ব্রিগেডে সভা। তা বলে লড়াই শেষ হয়নি। মিনাক্ষীর কথায়, ‘‘তা কুকুর মোটা হলে বাঘ হয় না। লড়াই আসলে নীতির। এ লড়াই শেষ নয়। লড়াই শুরু।’’
মুহাম্মদ সেলিম
১) ‘বামপন্থা দক্ষিণপন্থার ফারাক কী? উত্তেজনায় নজরুলের কবিতা থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বললেন, ভুলে গেছি। রণক্লান্ত তো। মমতা কী বলতে পারে ভুলে গেছি? মোদী কখনও বলতে পারে? কোনও ফ্যাসিস্ট পারে না। বামপন্থীরা পারেন। চোরকে চোর বলতে, গুণ্ডাকে গুণ্ডা বলতে, সাম্প্রদায়িককে সাম্প্রদায়িক বলতে, বামপন্থা ভয় পায়নি। পাবে না। এখানে যাঁরা এসেছেন, ভয়কে জয় করে এসেছেন।’’
২) ‘‘যাঁরা চুরি করছে, রাজ্যের মানুষ তাঁদের শাস্তি চাইছে। যৌবনকে দেখে বলছে, তোমরা পারবে। ৫৬ নয়, ৩৫৬ নয়, মুষ্টিবদ্ধ হাত আপনারা যদি আকাশের দিকে তুলে ধরেন, মাথা উঁচু করে শপথ নেন, বাংলাকে বাঁচাতে, আমাদের শিল্প, কৃষ্টি, ঘর, মা-বোনদের ইজ্জত, ঐতিহ্য, ইতিহাস রক্ষার জন্য যদি এককাট্টা হন, কোনও দিল্লি পারবে না। ’’
** বামেদের ব্রিগেড প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “ডিওয়াইএফআইয়ের ব্রিগেড সমাবেশের নামে কিছু লোক ব্রিগেড যাবেন। কিন্তু সিপিএমকে ভোট দেবেন না। ব্রিগেড নতুন নয়। ২১ সালেও ব্রিগেড করেছে। তারপর শূন্য পেয়েছে। ব্রিগেডে লোক আসছে দেখিয়েও সিট তো সেই গিয়ে শূন্য। বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে সিপিএম।”
** DYFI-এর সমাবেশের শুভসূচনা ঘোষণাকারী উদ্বোধনী সঙ্গীত হিসাবে গাওয়া হল কবিগুরুর ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটি। এই গানটি ব্রিগেডের মূল মঞ্চে সমাবেশ শুরুর আগে পরিবেশন করছে চাকদহের একটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী। রাজ্যের যে কোনও সরকারি অনুষ্ঠানের শুরুতে গাইতে হবে রাজ্য সঙ্গীত। নিয়ম করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সে কথা জানানোও হয়েছে। ব্রিগেড সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ কার্যত ‘অক্ষরে অক্ষরে’ পালন করল বামেরা।
**আজ যারা ব্রিগেডে আসবেন, ভোটের দিন তাঁরা যেন নিজেদের পার্টিকেই ভোট দেন। তাহলেই বাংলার মঙ্গল’, ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট তৃণমূল মুখপাত্র দেবাংশ ভট্টাচার্যর
** মীনাক্ষী তৃণমূলকে চোর বলবেন আর ওঁর জ্যাঠা একসঙ্গে বিরিয়ানি খাবেন। ব্রিগেড নিয়ে বামেদের এভাবেই কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর কথায়, মীনাক্ষী মুখ্যোপাধ্যায় বলবেন, তৃণমূল চোর, ভাইপো চোর, চোর ধরো, জেল ভরো। বিজেপি-কেও যদিও চোর বলেন উনি। আর মীনাক্ষীর জ্যাঠা সীতারাম ইয়েচুরি পাটনা, মুম্বই, দিল্লিতে একসঙ্গে বসে বিরিয়ানি খাবেন। মানুষ সব দেখছেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন বামেদের কোনও অস্তিত্ব নেই। বামপন্থীরা অনেক আগেই নিজেদের লাইন থেকে সরে গিয়েছে।