পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: খোঁজ মিলল মধ্যপ্রদেশের ভোপালের হোম থেকে নিখোঁজ ২৬ টি মেয়ের। পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই মেয়েদের সন্ধান মিলেছে। নিখোঁজ মেয়েদের মধ্যে ১০ জন ছিল আদমপুর চানি অঞ্চলে। ১৩ জন ছিল বসতি এলাকায়। বাকিদের মধ্যে দুজন টপনগর ও রাইসেনে আছে। পারওয়ালিয়া থানা এলাকার ওই হোমে ছিল ৬৮ জন নাবালিকা। সম্প্রতি হোমে গিয়ে তাদের মধ্যে ৪১ জনের সন্ধান পান জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের কর্তারা। তবে বাকি ২৬ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের একটি হোম থেকে ২৬জন মেয়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ শানাতে ভোলেনি কংগ্রেস। হোমটি বেআইনিভাবে চালানো হত বলে অভিযোগ। কয়েক দিন আগেই হোম থেকে মেয়েদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি সামনে আসে। ‘আঁচল’ নামের এই হোমটি ভোপালের পারওয়ালিয়ায় অবস্থিত। সম্প্রতি হোমের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে পরির্দশনে এসেছিলেন ‘ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস’-এর চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্কা কানুনগো। হোমের রেজিস্ট্রার খাতা খতিয়ে দেখতেই তাঁর চক্ষুচড়কগাছ। দেখা যায় হোমের ২৬ মেয়ে নিখোঁজ। একসাথে এতগুলো মেয়ে কোথায় গেল তার কোনও সদুত্তোর হোম কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিশে এফআইআর দায়ের হয়। এদিকে ২৬জন মেয়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে ট্যুইটও করেন কানুনগো। সেখানে তিনি লেখেন, হোমে আশ্রিতদের রাস্তা থেকে তুলে আনা হয়েছিল। হোম চালানোর জন্য মালিকের কোনও লাইসেন্স ছিল না। ধর্মান্তরের জন্য মেয়েদের হোমে ঠাঁই দেওয়া হয়েছিল। নিখোঁজদের বয়স ৬ থেকে ১৮ মধ্যে। এই ধরনের ভুয়ো হোমগুলির উপর সরকারকে আরও বেশি নজরদারি চালানো দরকার।
কানুনগোর সংস্থার আরও অভিযোগ, হোমে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। মহিলাদের পাশাপাশি ছিল ২জন পুরুষ নিরাপত্তাকর্মী। পুরুষ কর্মী নিয়োগ করে আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ সংস্থার।
তারা জানিয়েছে, মেয়েদের হোমে শুধুমাত্র মহিলা গার্ড রাখাই বাধ্যতামূলক। এ ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এভাবে হোম থেকে মেয়েদের রহস্যজনক নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেতা সজ্জন সিং ভার্মা। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি সরকারের আমলে রাজ্যে বেআইনি হোমের রমরমা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধরনের ঘটনা লজ্জাজনক।