রফিকুল হাসান, শাসন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিনকে সামনে রেখে কর্মসূচি করল উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার শাসনের খড়িবাড়ি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার এই উপলক্ষ্যে খড়িবাড়ি অঞ্চল তৃণমূল কার্যালয়ে এক কর্মী বৈঠকে মিলিত হন তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয় প্রকাশ মজুমদার। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ, খড়িবাড়ি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি মান্নান আলী, প্রাক্তন সভাপতি সেকেন্দার আলি, জেলা পরিষদের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুর রউফ, হাজী মেজবাহ উদ্দিন সাহাজি, সাহাবুদ্দিন আহমেদ, ইসরায়েল আলি, হাফিজুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিন শাসনের খড়িবাড়িতে এসে বিজেপি ও আইএসএফকে এক সুতোয় বিধলেন তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি মুখ খোলেন ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নওশাদ সিদ্দিকীর প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে।
বসিরহাটের এমপি নুসরাত জাহানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তার বিরুদ্ধে পড়েছে নিখোঁজ পোস্টার। তাই এলাকার ভূমিপুত্রকে বসিরহাট লোকসভায় প্রার্থী করা হোক, উঠেছে এমনও দাবি।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যাকে প্রার্থী করবেন আমরা তাকেই জয়ী করব। সংখ্যালঘু অধ্যষিত এই বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে আগামী লোকসভা ভোটে আইএসএফ কোনো ফ্যাক্টরই হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি স্পষ্ট বলেন আইএসএফ বিজেপির বি টিম। ধর্মের নামে এই বাংলায় রাজনীতি চলতে পারে না। জেলা পরিষদের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুর রউফ আইএসএফের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রাজ্য নেতৃত্ব জয় প্রকাশ মজুমদারকে কাছে পেয়ে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার আর্জি জানান।
যদিও জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ বলেন বিগতদিনে যেভাবে লড়াই সংগ্রাম করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর হাতকে শক্ত করেছি, সেভাবেই লোকসভা নির্বাচনে লড়াই হবে। আইএসএফ কোনো ফ্যাক্টরই হবে না।
যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বারাসাত দুই ব্লকের এক আইএসএফ নেতা বলেন আসলে ওরা নওশাদ সিদ্দিকীকে ভয় করছে। ওরা এতো দুর্নীতি করেছে জনগণ তৃনমূলের পাশ থেকে সরে যাচ্ছে, তাই ভুল বকছে। পঞ্চায়েতে তো ভোট দিতে দেয় নি, কিন্তু লোকসভায় মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার তৃণমূল কারতে পারবে না। আমরা লড়াই দেব, মানুষ রুখে দেবে।