পুবের কলম প্রতিবেদকঃ গড়িয়ায় একইসঙ্গে বাবা-মা-ছেলের পচা-গলা দেহ উদ্ধার। গড়িয়া স্টেশনের কাছে তিনতলা আবাসনের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় একই পরিবারের তিন সদস্যের দেহ। দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশক খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙ্গে উদ্ধার করে তিনজনের দেহ। প্রাথমিক তদন্তের পর নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের অনুমান তিনজনেই আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে তাঁরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, দু’বছর আগে ওই ফ্ল্যাটে থাকতে এসেছিলেন অপর্ণা মৈত্র(৬৯), স্বপন মৈত্র(৭৫) এবং তাঁদের ছেলে সুমনরাজ মৈত্র(৩৫)। স্বপন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কারুর সঙ্গে তাঁদের তেমন মেলামেশা ছিল না বলেই জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরেই তাঁদের দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিষয়টি সেভাবে কেউ নজরও করেননি। তবে, তিনদিন ধরে হালকা দুর্গন্ধ আসায় বুধবার বিষয়টি সবার নজরে আসে। আর্থিক অনটনের কারণেই তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন বলে অনুমান প্রতিবেশীদের।
এদিকে, মৃত্যুর আগে একটি ফেসবুক লাইভ করে সুমন রাজ মৈত্র জানিয়েছেন, তাঁর মানসিক কষ্টের কথা। জানিয়েছেন, সবাই তাঁর সঙ্গে খুব দুর্ব্যবহার করছে। দীর্ঘ আট-ন’ বছর ধরে তাঁকে একঘরে করে দেওয়া হয়ছে। তিনি বুঝতে পারছেন না কেন? শুধু তাই নয়, সাহায্য চাওয়ার জন্যও তাঁর কোনও জায়গা নেই বলে ফেসবুক লাইভে জানান সুমন রাজ। তিনি এও জানান, তাঁর ছোট মামা তাঁকে কিছু টাকা দিয়েছিলেন। ওই টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে এবং বাড়ির আলমারিতে রাখা আছে। নিজের বেকারত্বের কথা, বাবা-মার অসুস্থতার কথাও জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর আবেদন তাঁর মত মানুষদের যেন একটু সাহায্য করা হয়।