পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুরের মানুষকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ৫৬২টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করেছি। একমাত্র নৌকা মার্কা ক্ষমতায় থাকলে এ দেশের উন্নতি হবে। মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় তারাগঞ্জ ওয়াক্ফ এস্টেট সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টার দিকে বাণিজ্যিক একটি ফ্লাইটে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তারপর সড়কপথে তারাগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা করেন। ছোট বোন শেখ রেহানাও তাঁর সঙ্গে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মানুষকে কাছে টানতেই হাসিনা মসজিদ নির্মাণের কথা ভোটপ্রচারে বলছেন। যদিও জয় তার নিশ্চিত। শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে উন্নত মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। ২০১৭ সালে এর কাজ শুরু হয়। এ পর্যন্ত ৫৬২টি মডেল মসজিদ নির্মাণ হয়েছে বলে এদিন জানান তিনি।
মডেল মসজিদগুলির ইমারত অত্যন্ত সুদৃশ্য। মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামায আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরী, গবেষণা ও দীনি দাওয়াত কার্যক্রম, পবিত্র কুরআন হেফজ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশী পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছেন। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উত্তরবঙ্গ মঙ্গাপীড়িত থেকে মুক্তি পেয়েছে। মঙ্গা থেকে মুক্তি পেয়ে এখন উন্নয়নের সুফল সুবাতাস বইছে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলে চিকিৎসা সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছেছে, মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মোবাইল ফোন যাতে সবার হাতে পৌঁছায়, সেটা উন্মুক্ত করেছি। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেছি। আমরা বিনা পয়সায় বই দিই। প্রাইমারি থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত বৃত্তি দিয়ে থাকি। গবেষণার জন্য টাকা দিই। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করা, প্রযুক্তির শিক্ষা দেওয়া সব ধরনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। মা,বাবাকে আর টাকা খরচ করে বই কিনতে হয় না। ৫৬২টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করেছি। মন্দির, গির্জাসহ অন্যান্য ধর্মের উন্নয়নে কাজ করছি।’
বাংলাদেশের কোনো মানুষ ভূমিহীন গৃহহীন থাকবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাঁদের ঘরবাড়ি, জমি নেই, তাঁদের দুই কাঠা জমিসহ ঘরবাড়ি করে দিচ্ছি। ৩৩টি জেলা ভূমিহীন গৃহহীন হয়েছে। তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জে কোনো গৃহহীন নেই। কৃষক লীগের নেতাদের দিয়ে প্রত্যেক উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যন্ত আমরা তথ্য নিয়ে ঘর করে দিচ্ছি। চাল, ডাল, তেল ভর্তুকি মূল্যে কেনার সুযোগ করে দিয়েছি। এসব হয়েছে আপনারা নৌকা মার্কা ভোট দিয়েছেন বলে। আমরা আপনাদের সেবা দিচ্ছি।’