পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মায়ানমারে জাতিগত সংখ্যালঘু একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কনসার্ট চলাকালে বার্মিজ সেনার চালানো বিমান হামলায় ৮০ জন নিহত হয়েছে। মায়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্যে রবিবার রাতে এ হামলা চলে। হামলায় নিহতদের মধ্যে স্থানীয় সংগীতশিল্পী-সহ কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির (কেআইএ) কর্মকর্তারাও রয়েছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো দেশটির সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। জানা গেছে, রবিবার রাতে কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্যাপনের জন্য কনসার্টের আয়োজন করা হয়। সেখানে জড়ো হন শত শত মানুষ। তাদেরকে টার্গেট করেই এ হামলা চালানো হয়। ২০২১ সালে দেশটির সেনাবাহিনী ক্ষমতাগ্রহণের পর এটি সবচেয়ে বড় বিমান হামলা। কাচিন শিল্পী সমিতির মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৮০ জন নিহত হয়েছেন এবং ১০০ জন আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, কনসার্ট চলাকালে চারটি বোমা ফেলে সামরিক বিমান, যেখানে সংগীতশিল্পী-সহ ৩০০ থেকে ৫০০ জনের মতো মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির মুখপাত্র কর্নেল নাও বু জানান, তাদের স্বায়ত্তশাসন আন্দোলনের ৬২ বর্ষপূর্তিতে ইয়াঙ্গুন থেকে ৯৫০ কিলোমিটার উত্তরে অং বার লে গ্রামে একটি কনসার্টের আয়োজন হয়েছিল। সেখানেই বিমান হামলা চালায় জান্তা বাহিনী। উল্লেখ্য, কাচিন এলাকায় মূল্যবান পাথরের খনি রয়েছে। ফলে এলাকাটির দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কাচিন বিদ্রোহী এবং মায়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ চলে আসছে। গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আং সান সু কি-কে উৎখাত করে ক্ষমতায় বসে জান্তা সরকার। তখন জান্তা-বিরোধী সংগঠনগুলোর সাথে হাত মেলায় কাচিন বিদ্রোহীরাও। এরই প্রতিশোধ নিতে সেনাবাহিনী তাদের কনসার্টে হামলা চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।